সময় এখন ডেস্ক:
‘আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং আদালত থেকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত বিএনপিকে কোনোদিক থেকেই আর রাজনৈতিক দল বলা যায় না, তারা সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে প্রমাণিত। কানাডিয়ান ফেডারেল আদালতও একই কথা বলেছে একাধিকবার। তাদের সবাইকে জেলে ভরে রাখা উচিত দেশের স্বার্থে।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সাথে বিএনপির সংঘর্ষের পর বুধবার রাতে নিজের ফেসবুকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও মন্তব্য করেন, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই বিএনপির সহিংসতাও শুরু হয়ে গেছে। ঠিক যেভাবে তারা ২০১৩ ও ২০১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে সাধারণ মানুষদের জীবন্ত পুড়িয়েছিল।’
প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মিছিল নিয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম (ঢাকা-৮ আসন) কিনতে আসলে কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের দুইটি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। পুলিশ ছররা গুলি ও কাঁদুনে গ্যাস ছুঁড়লে এক সাংবাদিকসহ বিএনপির ২৫ নেতাকর্মী ও ২৩ পুলিশ আহত হয়েছেন।
‘বিনা উস্কানিতে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে পুলিশের উপর হামলা হয়েছে’
গতকাল বিএনপি নেতাকর্মীদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির কার্যালয়ের সামনে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে তারা পুলিশের উপর হামলা হয়েছে। পুলিশের দুটি গাড়ি তারা পুড়িয়ে দিয়েছে। আপনারা দেখেছেন, আমাদের এখানে তাদের থেকে বেশি জমায়েত হয়েছিল। এমনও দেখেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজাকে পেছন দিক থেকে দেড় কিলোমিটার হেঁটে এ অফিসে আসতে হয়েছিল। সে তুলনায় এমন কি ভিড় তাদের হয়েছিল? পুলিশ আমাদের এখানেও ছিল নিরাপত্তার জন্য।
তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে মির্জা আব্বাসের নেতৃতে আজ তারা পুলিশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং পুলিশের দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। অপর একটি গাড়ি প্রায় পুড়িয়ে ফেলে এবং ১৩ জন পুলিশের সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হয়ে আজ হাসপাতালে। তারা নির্বাচন পেছানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা করলেন, নিজেদের বীরত্ব দেখালেন।’