স্পোর্টস ডেস্ক:
মিরপুরে শুরু হয়েছে উইণ্ডিজবধ কাব্য। টাইগারদের স্পিন জাদুতে বেসামাল উইন্ডিজ। দলীয় ২৯ রানে ৫টি উইকেট হারিয়েছে তারা। ফিরে গেছেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট, কাইরান পাওয়েল, সুনিল আমব্রিস, রস্টন চেজ ও শাই হোপ। এর মধ্যে সাকিব আল হাসান ২টি ও মেহেদী হাসান মিরাজ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। এর আগে প্রথম ইনিংসে ৫০৮ রান করে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন তাদের প্রথম ইনিংসের ব্যাট করছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৯ রান।
গতকাল মিরপুরে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচ। শুক্রবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাঁচ উইকেটে ২৫৯ রান সংগ্রহ করে দিনের খেলা শেষ করেছিল স্বাগতিকরা। সাকিব আল হাসান ৫৫ রান করে ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩১ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
শুক্রবার সকালে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩০১ রানে কেমার রোচের বলে শাই হোপের হাতে ক্যাচ হন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ১৩৯ বলে ৮০ রান করেন তিনি। এই রান করার পথে তিনি ছয়টি চার মারেন। টেস্টে এটি তার ২৪তম অর্ধশত। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে রিয়াদের সঙ্গে ১১১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন সাকিব।
এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে জুটি বাঁধেন লিটন দাস। দারুণ খেলতে থাকেন দুজন। রিয়াদ একটু ধীরে এগোলেও ওয়ানডে স্টাইলে খেলতে থাকেন লিটন। ৫০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। প্রথম সেশনে ৫৩ রানে অপরাজিত থেকে লাঞ্চ বিরতিতে যান লিটন।
লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটন দাস। ব্যক্তিগত ৫৪ রানে ফিরে যান সাজঘরে। ইনিংসের ১১৯তম ওভারে স্পিনার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন লিটন। ৫৪ রান করার পথে তিনি বল খেলেন ৬২টি, চার মারেন আটটি, ছক্কা হাঁকান একটি। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি। সপ্তম উইকেট জুটিতে রিয়াদের সঙ্গে ৯২ রানের জুটি গড়েন লিটন। দলীয় ৪১৬ রানে জোমেল ওয়ারিকানের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন মেহেদী হাসান মিরাজ।
দ্বিতীয় সেশনে সেঞ্চুরির দেখা পান রিয়াদ। টেস্টে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। গত মাসে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন রিয়াদ। ওই ম্যাচে ১০১ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি হ্যামিলটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন রিয়াদ। সেই ম্যাচে ১১৫ রান করেছিলেন তিনি। ওয়ানডেতেও রিয়াদের তিনটি সেঞ্চুরি রয়েছে।
তৃতীয় সেশনের শুরুতেই ফিরে যান তাইজুল ইসলাম। ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফেরার আগে তাইজুল করেন ২৬ রান। এরপর দশম উইকেট জুটিতে ৩৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন রিয়াদ ও নাঈম। দলীয় ৫০৮ রানে জোমেল ওয়ারিকারেন বলে বোল্ড হন রিয়াদ। ২৪২ বলে ১৩৬ রান করেন তিনি। রিয়াদের আউটের মাধ্যমে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।