বিশেষ সংবাদদাতা:
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক দায়েরকৃত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাৎসরিক আয় এক কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং তিনি এক কোটি ৫৮ লাখ টাকা ঋণ রয়েছেন। খালেদা জিয়ার স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৮ শতক জমি এবং গুলশানে একটি বাড়ির ৩/১ অংশের মালিক যার মূল্য ১০০ টাকা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বগুড়া-৬ ও ৭ আসনের জন্য মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা যায়। যদিও আজ তার মনোনয়ন পত্র বাতিল হওয়ার তথ্য জানা গেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা মারফত।
হলফনামায় খালেদা জিয়া উল্লেখ করেছেন, বাৎসরিক বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে ৬৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১৪ টাকা এবং শেয়ার ও ব্যাংক সঞ্চয়পত্রের সুদ থেকে বাবদ ৮৫ লাখ ৯ হাজার ৮১৩ টাকাসহ প্রায় ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা আয় করেন তিনি।
বেগম খালেদা জিয়ার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ৫০ হাজার ৩০০ টাকা, ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৪ কোটি ৭৭ লাখ ৮৫ হাজার ২৬৭ টাকা, পোস্টাল সেভিংস বা সঞ্চয়পত্রে স্থায়ী আমানত রয়েছে ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬২ টাকা।
খালেদা জিয়ার স্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে ৮ শতক জমি। গুলশানে একটি বাড়ির ৩/১ অংশের মালিক তিনি, যার মূল্য দেখানো হয়েছে ১শ টাকা। পাশাপাশি ক্যান্টনমেন্টের একটি বাড়ি, যা বর্তমানে মালিকানা ও দখলে নেই, সেটির মূল্য ৫ টাকা বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও বাড়ি ক্রয় বাবদ ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ঋণ উল্লেখ করা হয়েছে।
হলফনামায় আরও উল্লেখ আছে, খালেদা জিয়ার নামে ৬৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের ৩টি টয়োটা ব্র্যান্ডের জিপ, হিরে, জহরতসহ ৫০ তোলা স্বর্ণ, ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র এবং ৫ লাখ টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিক পণ্য আছে।
বেগম খালেদা জিয়া তার নির্বাচনী হলফনামায় আরও উল্লেখ করেছেন, তার নামে মোট ৩৪টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার বেশিরভাগই উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতার স্থানে তিনি ‘স্বশিক্ষিত’ উল্লেখ করেছেন। পেশার স্থানে উল্লেখ করেছেন- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সাংগঠনিক কার্যাবলী পরিচালনা করা।