বগুড়া সংবাদদাতা:
বগুড়া-২ সংসদীয় আসন শিবগঞ্জ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র (হাঁসুয়া) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য, হাঁসুয়া প্রস্তুতকারী কর্মকারসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা শহরে নাশকতা সৃষ্টির জন্য দেশীয় অস্ত্রগুলো আনা হচ্ছিল বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জয়পুরহাট-মোকামতলা সড়কে শিবগঞ্জ উপজেলার আমতলী বন্দর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার পুনট পশ্চিমপাড়া গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য যুবদল নেতা আব্দুল হালিম জনি, পুনট বাজারের কর্মকার নারায়ণ চন্দ্রের ছেলে অশোক কুমার কর্মকার, একই গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে যুবদল কর্মী সেলিম মিয়া ও সিএনজিচালিত অটো রিক্সাচালক উপজেলার ফেনিগ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে মোমিনুল ইসলাম।
তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২৬ ইঞ্চি লম্বা ২০০ পিস ধারালো হাঁসুয়া।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে পুনট ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার অত্যন্ত ঘনিষ্ট। ধারনা করা হচ্ছে, ঐক্যফ্রন্ট নেতা মান্না এই হাঁসুয়াকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারেন। তবে এ বিষয়ে পুলিশ এখনই কিছু বলতে রাজি নন। ঘটনাটি স্পর্শকাতর হওয়া এ নিয়ে জোরালো তদন্ত চলমান আছে।
প্রসঙ্গত, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না এবার বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ইতিপূর্বে তিনি ফোনে বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার সাথে আলাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নাশকতা সৃষ্টি করে ছাত্রদের লাশ ফেলে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিপাকে ফেলার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ফেঁসে যান। ওই ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে মামলা হয়, তিনি কারাবরণ করে বর্তমানে জামিনে আছেন।
এদিকে শিবগঞ্জ থানার (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, রাতে আমতলী বন্দরে পুলিশ চেকপোস্টে জয়পুরহাট থেকে বগুড়াগামী একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা তল্লাশি করে পুলিশ এসব দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানী ঢাকা শহরে নাশকতা সৃষ্টির জন্য এই সব অবৈধ অস্ত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার এসআই আবু সাইদ বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছেন। তাদেরকে রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।