প্রবাস ডেস্ক:
সংযুক্ত আরব আমিরাতে এক প্রবাসী বাংলাদেশি সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আমিরাত প্রবাসী ওই বাংলাদেশি প্রকৌশলী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক রাস্তায় প্রায় এক কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ পেয়েও পুলিশে খবর দিয়ে তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। এমন সততার জন্য তিনি যেমন প্রশংসিত হয়েছেন, তেমনি পেয়েছেন পুরস্কারও।
জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর আরব আমিরাতের অন্তর্গত আল আইন প্রদেশের আল-সালামাত রোড থেকে নিজের পেশাগত কাজ শেষ করে ফেরার সময় রাস্তায় একটি পলিথিনের ব্যাগ পরিত্যক্ত অবস্থায় চোখে পড়ে মোজাম্মেল হকের। কি না কি ভেবে প্রথমে পাশ কাটিয়ে চলে গেলেও পরে দায়িত্ববোধের কারণে ফিরে এসে ব্যাগটি খুলে এক হাজার দিরহামের বেশ কয়েকটি বান্ডিল আবিষ্কার করেন তিনি। আশেপাশে কোনো পথচারী বা এমন কাউকে দেখেননি, যার হাত থেকে সেগুলো পড়ে যেতে পারে বলে মনে হয়। উপায়ন্তর না দেখে তাৎক্ষণিক পুলিশকে ফোন করে এই অর্থ হস্তান্তর করেন তিনি।
এ ব্যাপারে মোজাম্মেল বলেন, অন্যের জিনিস ভেবে প্রথমে পাশ কেটে চলে গেলেও ‘বিবেকের তাড়না’য় ফিরে এসে ব্যাগটি খুলে দেখি ১ হাজার দিরহামের অনেকগুলো বান্ডিল। ইচ্ছা হলেও তা গুণে দেখিনি। গুণতে গিয়ে যদি মনে লোভ-লালসা চলে আসে সেই ভয়ে। দেরি না করে পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানাই এবং তাদের কাছে ওই ব্যাগটি হস্তান্তর করি।
এ ঘটনায় আমিরাত পুলিশ তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানায়। পরে ২২ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ক্রিমিনাল সিকিউরিটি সেক্টরের অধীনে আল আইন পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে সততার জন্য সম্মাননা সনদ ও অন্যান্য উপহার দেয়া হয়।
মোজাম্মেল হক চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার ১নং পুকুরিয়া ইউনিয়নের বরুমচড়া গ্রামের সিদ্দীক আহমেদের ছেলে। তিনি গত ২০ বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গ্রিন সিটি আল আইন এর ৩নং সানাইয়ায় ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড প্লাম্বিংয়ের ঠিকাদারি ব্যবসা করছেন।
প্রসঙ্গত, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশিরা এই ধরনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এর আগেও অনেকবার দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।
1