স্পোর্টস ডেস্ক:
ইমার্জিং এশিয়া কাপে অংশ নিতে পাকিস্থান সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল- এমন একটি অনিশ্চয়তাপূর্ণ সংবাদ ক্রীড়ামোদিদের কানে আসছে অনেকদিন ধরেই। শোনা যাচ্ছে, আগামী বছর পাকিস্থান সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হল, পাকিস্থানে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার ইচ্ছা আমাদের নেই। ওখানে খেলতে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমরা নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলব।’
২০০৯ সালে শ্রীলংকার ক্রিকেটারদের ওপর লাহোরে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে পাকিস্থান সফরে যেতে আগ্রহী নয় টেস্ট খেলুড়ে কোনো দেশই। দেশে ক্রিকেট ফেরাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে পাকিস্থান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তাদের আমন্ত্রণে জিম্বাবুয়ে এবং শ্রীলংকা ক্রিকেট দল পাকিস্থান সফরে যায়।
২০১৫ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অংশ নিতে পাকিস্থান সফরে যায় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। আগামী বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্থানের হোম সিরিজ রয়েছে।
এ ব্যাপারে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এর আগে আমাদের নারী দল পাকিস্থানে খেলে এসেছে। তারা সেরা নিরাপত্তা দিয়েছে। এর আগে শ্রীলংকাও সেখানে খেলেছে। আমরা যদি কোনো নিরাপত্তা হুমকি না দেখি এবং আইসিসির ইতিবাচক ইঙ্গিত পাই, তাহলে হয়তো ভেবে দেখব। তবে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হল, এখনই আমাদের পাকিস্থানে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার ইচ্ছা নেই। নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আমরা খেলব।’
আগামী বৃহস্পতিবার আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ইমার্জিং কাপ শুরু হবে বাংলাদেশের। ঠিক পরদিন প্রতিপক্ষ হংকং। ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ খেলবে পাকিস্থানের বিপক্ষে। ১৫ ডিসেম্বর টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলংকার কলম্বোয়।
ইমার্জিং কাপের স্বাগতিক পাকিস্থান এবং শ্রীংলকা। দুটি গ্রুপে ৮টি দল অংশ নেবে। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশ খেলবে পাকিস্থান, হংকং ও আরব আমিরাতের বিপক্ষে। এই গ্রুপের খেলাগুলো হবে পাকিস্থানের করাচিতে।
‘বি’ গ্রুপে স্বাগতিক শ্রীলংকার সঙ্গে খেলবে ভারত, আফগানিস্তান এবং ওমান। এই গ্রুপের খেলাগুলো হবে শ্রীলংকার কলম্বো স্টেডিয়ামে।