বগুড়া সংবাদদাতা:
আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম বগুড়া-৪ আসনে আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী, অভিযোগ করে বলেন, এমপি-মন্ত্রীরা চায় না আমরা প্রজারাও রাজা হই। সোমবার নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে এসে তিনি এ অভিযোগ করেন।
হিরো আলম বলেন, জিরো থেকে হিরো হয়েছি। ষড়যন্ত্র করে আমাকে থামানোর চেষ্টা চলছে। এমপি-মন্ত্রীরা চায় না প্রজারাও রাজা হোক। ভোট যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাব। কমিশনে আপিল করেছি, আশা করছি নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুয়োগ পাব। মনোনয়নপত্রে কোনো ভুল না থাকার পরও ষড়যন্ত্র করে আমাকে থামানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তিনটিসহ মোট ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। বর্তমনে প্রার্থী সংখ্যা ২ হাজার ২৭৯ জন। গত ২৮ নভেম্বর ৩০০ আসনে ৩ হাজার ৬৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিল। এর মধ্যে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী সংখ্যা ২ হাজার ৫৬৭ জন ও বাকি ৪৯৮ জন স্বতন্ত্র। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আপিল চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর শুনানি করে আপিল নিষ্পত্তি করা হবে।
এর আগে, রোববার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিলের ঘোষণা দেন।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় কষ্ট পেয়েছেন উল্লেখ করে হিরো আলম বলেন, প্রার্থীতা ফিরে না পেলে বসে থাকবেন না, এক পক্ষকে সমর্থন দেবেন।
মনোনয়ন ফিরে না পেলে কী করবেন- এমন প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, এমনটি হলে আমি হিরো আলম বসে থাকব না। আমার ব্যক্তি ইমেজ কাজে লাগিয়ে যে কোনো একটি পক্ষের হয়ে কাজ করব।
কোন পক্ষকে সমর্থন দেবেন এমন প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, কোন পক্ষে কাজ করব তা এখনই বলব না। সময় হলে সব জানতে পারবেন।
জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন হিরো আলম। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
তার প্রকৃত নাম আশরাফুল ইসলাম। মিউজিক ভিডিওর সুবাদে তিনি হিরো আলম নামে খ্যাতি পান।