বিশেষ সংবাদদাতা:
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক বর্ণিল চরিত্র স্বৈরাচার রাষ্ট্রপতি হিসেবে খ্যাত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বিগত অনেক বছর ধরেই দেখা গেছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এলেই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের সিএমএইচে যাতায়াত বেড়ে যায়। রাজনৈতিক মহলে এটিকে তার ‘নির্বাচনী রোগ’ বলেও টিপ্পনি করা হয়।
সাবেক সামরিক কর্মকর্তা এরশাদ এবারও তার সেই রোগের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। ইতিমধ্যেই কয়েক দফা অন্তরালে চলে গেছেন তিনি। তার দল জাতীয় পার্টি থেকে অফিসিয়াল বিবৃতি দিয়ে পরে জানানো হয়, চেয়ারম্যান এরশাদ অসুস্থ, তিনি বর্তমানে সিএমএইচে ভর্তি আছেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এই বৃদ্ধ বয়সে বাসায় একা থাকেন। হঠাৎ যদি রাতে ঘুম ভেঙে যায়, তিনি অস্থির বোধ করেন। কাছের লোকজন নাই বলে দেখাশোনার করাটাও একটা সমস্যা। বিশাল খালি বাসায় তিনি ভয় পান বলে নার্সসহ চিকিৎসা সুবিধা পেতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) থাকছেন বলে জানিয়েছেন তার দলের নবনিযুক্ত মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা।
মঙ্গলবার বনানীতে পার্টির চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
নতুন মহাসচিব রাঙ্গা বলেন, ‘স্যারের (এরশাদ) বাসায় নিকটাত্মীয় কিংবা স্বজন কেউই নেই। সেখানে এত বড় বাসায় তিনি একা একা থাকতে ভয় পাচ্ছেন। এজন্য শরীরে একটু অসুবিধাবোধ করলে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে সিএমএইচে চলে যাচ্ছেন। ওখানে নার্স আছেন, ডাক্তার আছেন, স্যারের দেখাশোনার সমস্যা হবে না। এটিকে ভিন্নভাবে নেয়ার কিছু নেই।’
এরশাদের বর্তমান শারীরিক অবস্থার প্রসঙ্গ তোলা হলে মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘স্যারের (এরশাদ) শারীরিক অবস্থা একবার খারাপ হয় তো একবার ভালো। এখন থেকে ১ ঘণ্টা আগেও আমি কথা বলে এসেছি। উনি রংপুরের কোল্ড স্টোরেজের বেতন তালিকায় স্বাক্ষর করেছেন।’
নতুন মহাসচিব রাঙ্গা বলেন, ‘চেয়ারম্যান স্যার আমার সঙ্গে কথা বললেন। তার ছেলে সা’দের সঙ্গে কথা বললেন। জিএম কাদের সাহেবের সঙ্গেও কথা বললেন। এ থেকেই বোঝা যায়, তিনি শতভাগ সুস্থ আছেন এই মুহূর্তে।’