আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দীর্ঘ ৯৫ বছর নিষিদ্ধ থাকার পর কানাডা সরকার সম্প্রতি চিত্ত বিনোদনের উদ্দেশ্যে গাঁজা সেবনকে বৈধতা দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে দেশটিতে ব্যবসায়িকভাবে গাঁজা চাষের সম্প্রসারনের জন্য গ্রিনহাউসের মাধ্যমে গাঁজা চাষ করার প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। একই সাথে বেড়েছে নতুন এই খাতে উপযুক্ত কর্মীর চাহিদা। তবে, কর্মীর চাহিদা থাকলেও মিলছেনা গাঁজা চাষের উপযুক্ত কর্মী।
কানাডার একটি গাঁজা উৎপাদনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোম্পানি আফরিয়া ইনকর্পোরেটেড গ্রিনহাউসের মাধ্যমে গাঁজা উৎপাদন করে থাকে। দক্ষ কর্মীর জন্য কোম্পানিটি ক্যারিবিয়ান দ্বীপ ও গুয়েতেমালা থেকে ৫০ জন কর্মীকে প্রাথমিকভাবে নিয়োগ করলেও ১ সপ্তাহের মধ্যে নবনিযুক্ত ৮ জন কর্মী চাকরী ছেড়ে দেন।
এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ন্যুফেল্ড জানান, ‘গরমকালে যখন গরম ও আর্দ্রতা চরমে থাকে তখন গ্রিন হাউসের মধ্যে কাজ করা খুবই কষ্টকর। ঠান্ডা হাওয়া চালিয়ে আমরা গরম কম করার চেষ্টা করি। কিন্তু জুলাই-অগস্টে পরিস্থিতি খুবই কষ্টকর’।
উল্লেখ্য, যথেষ্ট কর্মী না থাকার কারণে বিগত অর্থবছরে প্রায় ১৪ হাজার গাঁজা গাছ নষ্ট করতে হয়েছিল কোম্পানিটিকে। দক্ষ কর্মীর এই সমস্যা কানাডার অনুমোদিত গাঁজা উৎপাদনকারী সবগুলো প্রতিষ্ঠানেই রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে দেশটির সর্ববৃহৎ কোম্পানি ক্যানোপি গ্রোথ কর্পোরেশনের ১ হাজার ২০০টি চাকরির পদ খালি পড়ে রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গাঁজা চাষ করা প্রথম আটটি বড় কোম্পানি প্রায় ১ হাজার ৭০০ কর্মীকে নিয়োগ করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে, এ বিষয়ে কানাডার একটি ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান তাদের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানায়, “গাঁজা চাষ বৈধ হওয়ায় আগামী দিনে গাঁজা নিয়ে গবেষণা, নিষ্কাষণ ও ওইজাত দ্রব্য তৈরির জন্য প্রচুর দক্ষ লোক নিয়োগ করতে হবে। গাঁজা চাষ ও সেই সম্পর্কিত শিল্পের বিস্তার আগামী এক বছরে প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার লোককে চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হবে”।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কানাডায় গাঁজা চাষের জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। অন্যদিকে, গাঁজা সেবন বৈধতা পাওয়ায় এই জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে, উপযুক্ত কর্মীর অভাবে বর্তমানে হুমকির মুখে পড়েছে দেশটির সম্ভাবনাময় নতুন এই অর্থনৈতিক খাতটি।