সময় এখন ডেস্ক:
আবার যদি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব নিতে পারি ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ অর্জন সম্ভব হবে এবং ২০২৪ সাল থেকে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে টোকিওভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ান রিভিউকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৮.২৫ শতাংশে পৌঁছবে এবং এই হার বাড়তেই থাকবে। আমরা এমন সব কর্মসূচি গ্রহণ করেছি যে আবার নির্বাচিত হয়ে আসতে পারলে ২০২১ সালের মধ্যে ১০ শতাংশ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এশিয়ার দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। এর পেছনে কাজ করেছে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন নীতিমালা। বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে আগামী বছরই দ্বিতীয় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশ। আমরা এখনও উপযুক্ত স্থান খুঁজছি। সে ক্ষেত্রে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হতে পারে। উপযুক্ত স্থান পাওয়া গেলে আসন্ন নির্বাচনের পর ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রস্তাব আহ্বান করা হবে বলে জানান তিনি।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি নাগরিক উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছিলেন। তাদের আশ্রয় দিয়েছিল ভারত। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই রোহিঙ্গা নাগরিকদের প্রতি বাংলাদেশ সহমর্মিতা দেখিয়ে তাদের আশ্রয় দিয়েছে। মিয়ানমার থেকে আগের ৩ লাখসহ নতুন ৮ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয়দানের বিষয়টির নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেও মনে করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি। আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। আমরা তাদের খাদ্যের সংস্থান করেছি, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেছি এবং তাদের নারী ও শিশুদের যত্ন নিয়েছি। কক্সবাজার এলাকায় আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে পরিকল্পনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছি। এ ছাড়া কোনো রোহিঙ্গাকেই বলপূর্বক মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে না এ ব্যাপারে আমি আশ্বস্ত করতে চাই সবাইকে।
তবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি সমাধানের জন্য বিভিন্ন দেশ ও বহুজাতিক সংস্থাগুলোকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
3