সময় এখন ডেস্ক:
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিএনপির তালিকাভূক্ত নাশকতাকারী নেতা-কর্মীরা। প্রস্তুতি নিচ্ছে নানা রকম সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও আছে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায়। তীক্ষ্ম নজরদারির কারনে ধরাও পড়ছে নাশকতাকারীরা।
এবার রাজধানীর রামপুরা থেকে স্থানীয় বিএনপির এক নেতাকে আটক করেছে র্যাব। তার নাম মির্জা হাসান ওরফে আকবর ওরফে ইমাম ওরফে বুলু। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে তিনি নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন বলে জানিয়েছে র্যাব। শনিবার রাতে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের জানানো হয়।
আটক বুলু ২৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। শুক্রবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, রামপুরা এলাকায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টায় কিছু নাশকতাকারী গোপনে মিলিত হচ্ছেন- এমন খবরে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে র্যাব-৩ রামপুরা থানার বি ব্লকের ৩০৩ নম্বর বাসায় অভিযান পরিচালনা করে। র্যাব বাসাটি ঘেরাও করে একাধিক মামলার আসামি মির্জা হাসান ইমামকে আটক করে। এ সময়ে তার শোয়ার ঘরে তল্লাশি করে খাটের নিচ থেকে ৭টি পেট্রলবোমা ও ২টি লাল স্কচটেপ মোড়ানো ককটেল উদ্ধার করা হয়।
আটক আসামি মির্জা হাসান ইমাম নিজেকে ২৩ নম্বর ওয়ার্ড জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সাংগঠনিক সম্পাদক বলে স্বীকার করেন।
ইমাম র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানান যে, আসন্ন ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিনি ও তার সহযোগিদের মাধ্যমে দেশে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছিলেন। নাশকতার মধ্য দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি, প্রাণহানি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধনের লক্ষ্যে তার বাসায় শলা পরামর্শ হচ্ছিল। সেই লক্ষ্যে তারা বিস্ফোরক দ্রব্যাদি ইমামের বাসায় মজুদ করছিল।
গ্রেপ্তারকৃত মির্জা হাসান ইমাম র্যাবকে আরও জানিয়েছে, তিনি খিলগাঁও-রামপুরা এলাকায় নির্বাচনকালীন অরাজক পরিস্থিতি ও নাশকতা তৈরির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসেবে কাজ করছিলেন। তার বিরুদ্ধে রামপুরা ও খিলগাঁও থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।