মনির খানের মত ভদ্রলোকের চাইতে রাজাকারের দাম বেশি বিএনপিতে: রিয়াজ

0

সময় এখন ডেস্ক:

নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য মনোনয়নপর জমা দিলেও বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়া হল না জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী মনির খানকে। আর একারণেই রোববার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি থেকে পদত্যাগের করেছেন বলে জানিয়েছেন মনির খান। তার এই পদত্যাগের বিষয় নিয়ে আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা চিত্রনায়ক রিয়াজ তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হল-

‘আমি মানুষকে তাদের ব্যক্তিগত মতাদর্শের মাপকাঠিতে বিচার করি না। এই মানুষটিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তিনি যেমন একজন ভালো শিল্পী, তেমনই ভালো মানুষ। কিন্তু এই মানুষটিকে তার এতো বছরের পরিশ্রমের কি প্রতিফলন দেয়া হলো? তাও একজন ‘রাজাকারের’ জন্য? ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশে এক রাজাকারের মূল্য কি একজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীর চেয়ে বেশি? যারা একজন শিল্পীর এই অপমান করলো তারা এই দেশকে কি দেবে? জাতিকে কি দেবে? জাতির বিবেকের কাছে আমি এই প্রশ্ন রাখলাম।’

বিএনপির রাজনীতি করা ছিল জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল: মনির খান

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠানো মনির খান বলেন, বিভিন্ন অজুহাতে তাকে জাতীয় নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো। এ অবস্থায় তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রাণের দাবির সঙ্গে একাকার হয়ে বিএনপির সব ধরনের সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। জনগণের দাবিতে, ভক্তদের দাবিতে রাজনীতির মাঠ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে আবার সঙ্গীতচর্চা শুরু করবো। মাঝখানে যে কয়টা দিন, যে কয়টা বছর বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত থেকেছি, এটি আমার জীবনের দুর্ঘটনা ছিল। সবচেয়ে বড় ভুল ছিল।

প্রসঙ্গত, প্রায় ১০ বছর ধরে এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যক্রম ও গণসংযোগ করে আসছেন এ শিল্পী। এলাকার রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি দল থেকে মনোনয়ন পেলেন না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন মনির খান। এই রাজনীতিতে সময় দিতে গিয়ে গানের জগতেও অনিয়মিত হয়ে গেছেন দীর্ঘদিন ধরে। সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারকেও ধ্বংসের মুখে ফেলে দিয়েছেন তিনি। তাই এবার পদত্যাগ করেছেন বিএনপি থেকে।

মনির খান বলেন, তিনি দেশের একজন জাতীয় সঙ্গীতশিল্পী। জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জিসাস) মহাসচিব হিসেবে যোগদান করেন। পরে তার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট হয়ে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির সহ-সংস্কৃৃতিবিষয়ক সম্পাদক করা হয়। পরে খালেদা জিয়া তাকে নির্বাচনী এলাকায় কাজ করার নির্দেশ দেন। তিনি সবসময় এলাকার সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের পাশে থেকে নির্বাচনী এলাকার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন।

কিন্তু এত কিছুর পরেও মনোনয়ন না পাওয়া, দলের রাজনীতিতে বিশৃঙ্খলা, দলের শীর্ষনেতাদের নানাবিধ অপকর্মের কারনে দেশে-বিদেশে সমালোচনার মুখে পড়াসহ বিভিন্ন কারণে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানান মনির খান। দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদ থেকেও পদত্যাগ করেছেন।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!