ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
সরকারি জমিটি দীর্ঘদিন ধরে ছিলো দখ’লবাজদের কবলে। সেই জমি উদ্ধার করে সেখানে শিশুদের জন্য পার্ক বানালো প্রশাসন। শুরুতে বসানো হলো ৬টি রাইড। পার্কটি উন্মুক্ত করার পর পরই শিশুরা সেখানে মেতে উঠলো খেলাধুলায়। শিশুদের এ আনন্দধারা যেন থামবার নয়। শিশুদের হৈ হুল্লোড় দেখলে প্রাণটা ভরে যায়।
‘তিতাস’ নামকরণ করা পৌর এলাকার শিমরাইল কান্দির পার্কটি বুধবার বিকেলে উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযো’দ্ধা আল-মামুন সরকার, পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুহুল আমীন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি পিযুষ কান্তি আচার্য্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম।
তিতাস নদীর পাড়ে ১৫ শতক জমিতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পার্কটি নির্মাণ করা হয়। সেখানে আপাতত ৬টি রাইড বসানো হয়েছে। উদ্বোধনের খবর পেয়ে বুধবার বিকেলে শিশুদেরকে নিয়ে হাজির হন অভিভাবকরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলাকালেই শিশুরা রাইডে চড়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অভিভাবকরাও আনন্দের সঙ্গে শিশুদেরকে বেশ সময় দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ দৌলা খাঁন বলেন, এই শিশু পার্কটি মুজিব বর্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিশুদের জন্য একটি উপহার। ধীরে ধীরে পার্কটিকে আরো সুন্দর করে তোলা হবে। শিশুদের খেলার জন্য আধুনিক রাইড বসানো হবে।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, সদর উপজেলার সুলতানপুরে শিশুদের বিনোদনের জন্য আরেকটি ইকোপার্ক নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি জাদুঘর নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ কাজে তিনি স্থানীয় জনসাধারণের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।