স্পোর্টস ডেস্ক:
মাত্র কয়েকদিন আগেই তার ব্রেন সার্জারি করা হয়েছিল। কয়েকদিন হাসপাতালে থাকার পর ডাক্তাররা তাকে রিহ্যাব সেন্টারে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎে করেই আজ হার্ট অ্যাটাক হলো সাবেক এই ফুটবল গ্রেট এর। যেখান থেকে আর ফিরলেন না আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।
বিশ্বের কোটি কোটি ভক্তকে শোক সায়রে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন এই ফুটবল মহানায়ক। তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনার আইনজীবী এই তথ্য নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার পরই এই খবর ছড়িয়ে পড়ে আর্জেন্টিনার মিডিয়াগুলোতে। এরপর সারাবিশ্বের মিডিয়ায়।
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে একক নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ শিরোপা জিতিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। ১৯৯০ বিশ্বকাপেও আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলেছিলেন তিনি। সেবার জার্মানির কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করতে হয় তাকে। এছাড়া ইউরোপিয়ান ফুটবল ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলির অবি’সংবাদিত কিংবদন্তি ছিলেন তিনি।
মাত্র ২ সপ্তাহ আগে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। ব্রেন সার্জারি করা হলেও, ডাক্তাররা বলেছিলেন আশাতীত দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। যদিও মা- দ’কাসক্তির কারণে তাকে বাড়িতে নয়, পাঠানো হয়েছিল বুয়েন্স আয়ার্সের একটি রিহ্যাব সেন্টারে। এরপর তাকে নেয়া হয় নিজের বাড়ি তিগ্রেতে। সেখানেই আজ হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চলে গেলেন এই কিংবদন্তি।
আর্জেন্টাইন ক্লাব বোকা জুনিয়র্স থেকে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ম্যারাডোনা। এরপর ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলি ছিল তার সোনালি যুগের ক্লাব। খেলেছেন বার্সেলোনার জার্সিতেও। মূলত ১৯৮৬ বিশ্বকাপে একক নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানোর পর থেকেই ফুটবল বিশ্বে অবি’সংবাধিত কিংবদন্তিতে পরিণত হন তিনি।
কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে দুটি গোল করেছিলেন, সে দুটিই ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিয়েছে। প্রথমটি করেছিলেন হাত দিয়ে। যে কারণে এটাকে বলা হয় ‘দ্য হ্যান্ড অব গড’। অন্যটি করেছিলেন মাঝ মাঠ থেকে এককভাবে টেনে নিয়ে গিয়ে। সেই গোলটারই নাম হয়ে যায় ‘গোল অব দ্য সেঞ্চুরি’।