অর্থনীতি ডেস্ক:
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিগত ৯ বছরে দেশের ব্যাংক খাত থেকে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে সিপিডির দাবি করা এমন গবেষণাকে ‘জাস্ট রাবিশ’ (ফালতু) বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের হযরত শাহ-জালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত শনিবার ঢাকায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ‘বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে আমাদের করণীয় কী’ শীর্ষক এক সেমিনারে বলা হয়, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে গেল এক দশকে ব্যাংক থেকে সাড়ে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। ২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারি-বেসরকারি ১৪টি ব্যাংকের মাধ্যমে এসব অর্থ খোয়া গেছে।
আজ বিমানযোগে সিলেটে পৌঁছান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত শেষে সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তার ছোট ভাই ড. একে আব্দুল মোমেনের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। দরগা গেইট এলাকায় তিনি প্রচারপত্র বিলি করেন।
এসময় তিনি বলেন, নির্বাচনী হাওয়া আওয়ামী লীগের পক্ষে। বিগত দিনে সরকার যে উন্নয়ন করেছে, তার ধারাবাহিকতার জন্য মানুষ নৌকায় ভোট দেবে।
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত থেকে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লুটের দাবি সিপিডির
বিগত এক দশকে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত থেকে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা ‘লুটপাট’ হয়েছে বলে দাবি করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ সিপিডি। গত শনিবার ঢাকায় দেশের ব্যাংকিং খাতের ওপর সিপিডি আয়োজিত এক সেমিনারে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে এই দাবি করা হয়।
যদিও মূল প্রবন্ধে এই কথিত লুটপাটের সাথে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেনি সংস্থাটি।
রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংকের অনুমোদন, পরিচালনা পর্ষদে রাজনিতিকদের যুক্ত করা, পরিচালকদের দুর্বৃত্তায়ন, দুর্বল ব্যাংক ব্যবস্থাপনা ও সবশেষে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সরাসরি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে দেশের ব্যাংকগুলো এখন চরম সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে সিপিডি। সংস্থাটির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের জন্য নাগরিক কমিশন গঠনের সুপারিশ করেন।
ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শক্তিশালীকরণ, নতুন ব্যাংক অনুমোদন না দেওয়া, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্তিশালী বিচারিক ব্যবস্থাসহ জরুরি ভিত্তিতে ৫টি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি।