বগুড়া সংবাদদাতা:
বিএনপির নেতাকর্মীদের রাগ যেন কমছেই না। যাবতীয় হামলা দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওপরেই। ঢাকায় হামলার শিকার হওয়ার পর এবার বগুড়ায় নির্বাচনী কর্মিসভায় আবারও তার ওপর চড়াও হয়েছে নেতাকর্মীরা। ব্যাপক হট্টগোল হয়েছে উক্ত সভায়। খালেদা জিয়া ভোটে অযোগ্য হওয়ার পর বগুড়া-৬ আসনে নিজের পক্ষে প্রচার চালাতে গেলে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন তিনি।
শুক্রবার বেলা ১১টায় শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে কর্মিসভা শুরু হয়। এ সময় সভার সভাপতি হিসেবে বগুড়া পৌরসভার মেয়র জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি একেএম মাহবুবর রহমানের নাম মাইকে ঘোষণা হয়। কিন্তু আপত্তি তোলেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম। এ সময় দুই পক্ষে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। এক পর্যায়ে কিল ঘুষি এবং মারামারি পর্যন্ত গড়ায় ঘটনা। শেষ পর্যন্ত মির্জা ফখরুলের ওপর চড়াও হয় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
এক পর্যায়ে জেলা সাইফুল ইসলাম মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে হাত জোড় করে নেতা কর্মীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি ঘোষণা দেন, দলের জ্যেষ্ঠ নেতা মাহবুবর রহমান সভাপতিত্ব করবেন। এতে নেতাকর্মীরা শান্ত হলে বেলা সাড়ে ১১টায় সভা শুরু হয়।
আমরা ভোটে থাকব
কর্মিসভায় ফখরুল বলেন, যাই ঘটুক, আমরা ভোটে থাকব। আর ছোটখাট দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে এক হয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষে ভোট চাইতে হবে সবার কাছে। ভোটের দিন সকালে নিজে ভোট দেবেন এবং ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে ধানের শীষে ভোট দেয়াবেন। সারাদিন ভোট কেন্দ্র পাহারা দেবেন। ফলাফল না নিয়ে যাবেন না। কেউ যেন ভোট চুরি করতে না পারে। জনগনের ভোট রক্ষা হলে বিজয় আমাদের নিশ্চিত।
নিজের প্রার্থিতা নিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আমি কোনো প্রার্থী নই, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতিনিধি।’
সারাদেশে গণগ্রেপ্তার চলছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘এজন্য একদিন জবাবদিহি করতে হবে। সরকারের ইশারায় নির্বাচন কমিশন চলছে। তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি। আমরা হামলার অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এর জবাবও দিতে হবে।’
এরপর মির্জা ফখরুল বিকাল থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত তার নির্বাচনী বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে পথসভা ও গণসংযোগ করেন।’