বিশেষ সংবাদদাতা:
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসের পূর্ণতা পায় বিজয় দিবসে। ১৬ ডিসেম্বর এই জাতীয় দিবসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি থাকে। বিএনপি এই দিনটি বিশেষভাবে পালন করে। জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারেও শ্রদ্ধা জানান দল এবং জোটের নেতৃবৃন্দ। বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠন, রাজনৈতিক জোটসহ সমমনা গোষ্ঠীগুলোর নেতাকর্মীরা দিনভর জিয়াউর রহমানের স্মৃতির উদ্দ্যেশে সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে উদযাপন করে বিজয় দিবস।
কিন্তু এবারের বিজয় দিবসের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় গত বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের বাসভবনে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত জোটের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী একটি প্রস্তাব করেন- জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ওইদিন ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন প্রথমে। তারপর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে গিয়ে কবর জিয়ারত করবেন। এতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে।
প্রস্তাবে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের যে বিজয়, তাতে এই দুজনারই অবদান রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অবদান অনস্বীকার্য এবং জিয়াউর রহমানও একজন বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা।
কিন্তু এই প্রস্তাব ড. কামাল হোসেন সরাসরি নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘আমি জিয়াউর রহমানের মাজারে যেতে পারি না। এখানে আমার ভিন্নমত আছে। বিএনপির সঙ্গে যে ঐক্য, সেটা শুধু নির্বাচনের ঐক্য। কোনো আদর্শিক ঐক্য নয়। জিয়াউর রহমানের অবদান মেনে নিয়ে বা তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক মনে করেছি- এ ধরনের ঐক্য করা হয়নি বিএনপির সাথে। এটা করা হয়েছে শুধুমাত্র দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য। এ ধরনের রাজনৈতিক স্টান্টবাজি করলে জনগণ বিভ্রান্ত হবে।’
ড. কামাল হোসেনের এমন বক্তব্যের ফলে এই প্রস্তাবটি নাকচ হয়ে যায়।
জাতীয় ঐক্যের নেতা এবং বিএনপি-জামায়াত জোটের অন্যতম শুভাকাঙ্খী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিজয় দিবসে জিয়ার মাজারে যাবেন কি না- এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সিদ্ধান্ত নিয়ে বলবো।
1