দলের বিদ্রোহীদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম!

0

সময় এখন ডেস্ক:

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিভিন্ন আসনে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এসব নেতােদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার জন্য ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে দলটি।

আওয়ামী লীগের যু্গ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সাংগঠনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নির্বাচনের মাঠে এখনো নিজ দল আওয়ামী লীগ বা মহাজোটের প্রার্থীর বিরুদ্ধে যারা এখনো রয়েছেন তাদের ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সরে দাঁড়াতে হবে। সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানাতে হবে।

নানক বলেন, আওয়ামী লীগ বা মহাজোটের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নাই। কিছু স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। এটা দেড় ডজন নয় আরও অনেক কম। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে তাদের অবশ্যই আওয়ামী লীগ বা মহাজোটের প্রার্থীর স্বপক্ষে ভোটের মাঠে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। আর এটা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে ৮ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যারা বিভিন্ন আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তাদের উদ্দেশে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে সভানেত্রীর চিঠি

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সবার উদ্দেশে লেখা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তাদের প্রায় সবারই ত্যাগ ও অবদান রয়েছে। রাজনীতিক ত্যাগ, দক্ষতা, যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার বিচারে প্রায় প্রত্যেকটি আসনেই ছিল একাধিক যোগ্য প্রার্থী। একাধিক আবেদনকারীর মধ্যে থেকে একজনকে প্রার্থী হিসেবে নির্ধারণ করার কাজটি ছিল অত্যন্ত কঠিন ও দুরূহ।

প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে দলীয় প্রার্থী বাছাই করায় আপনাকে মনোনয়ন দিতে না পারায় আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আওয়ামী লীগকে একটি শক্তিশালী ও কল্যাণমুখী রাজনৈতিক দলে পরিণত করার জন্য আপনার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। সাংগঠনিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও দেশের কল্যাণে নিরবচ্ছিন্ন ভূমিকার জন্য আপনাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই কারণে আমরা সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।

আপনার কাছে আমার বিশেষ অনুরোধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে আপনার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে মহাজোটকে বিজয়ী করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করবেন। আপনার শ্রম আন্তরিকতা সব কিছুই আমার বিবেচনায় আছে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে এই নির্বাচনেও জয়ী হয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন সম্ভব বলে আমি মনে করি। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, আওয়ামী লীগ যদি ঐক্যবন্ধ থাকে, তাহলে নৌকা মার্কাকে পরাজিত করার সাংগঠনিক শক্তি আর কারও নেই।’

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!