মৌলভীবাজার সংবাদদাতা:
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা গণফোরামের প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ বলেছেন, বিজয় অর্জিত হলেও, বিজয়ের যে মূল লক্ষ্য তা এখনও অর্জিত হয়নি। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা চাকরী পাচ্ছে না। অনেক মুক্তিযোদ্ধা মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিজয়ের যে মূল লক্ষ্য ছিলো গণতন্ত্র তা ভুলুণ্ঠিত। বিজয় দিবসের যে মূল চেতনা জনগনের শাসন, জনগণের ক্ষমতা তা ভুলুণ্ঠিত। এগুলো আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।
রোববার সকালে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে তিনি এসব কথঅ বলেন।
সুলতান মনসুর বলেন, ধানের শীষকে ভোট দিয়ে জেতাতে হবে। তারপর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের শপথ গ্রহণ করতে হবে। আসুন আমরা বিজয় দিবসে শপথ গ্রহণ করি, ৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন, সেই নির্বাচনে আমরা বাংলাদেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছি ধানের ছড়ার পক্ষে, ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে বাংলাদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমরা বাস্তবায়ন করবো।
এ সময় স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।
জিয়া-খালেদা-তারেকহীন পোস্টার: সুলতান মনসুরকে নিয়ে বিএনপির সন্দেহ!
বঙ্গবন্ধুর স্নেহভাজন হিসেবে পরিচিত সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মনসুর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হয়ে মুজিবকোট পরেই যোগ দেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরীক দল ড. কামাল হোসেনের গণফোরামে। জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন ধানের শীষে।
মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনের এই প্রার্থীকে নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ভুগছেন সন্দেহে। কারন তিনি আওয়ামী লীগ ছাড়লেও মুজিবকোট ত্যাগ করেননি যেমন, তেমনি তার পোস্টারে নেই বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের কোনো ছবি!
সুলতান মনসুরের পোস্টার বা নির্বাচনী অফিসে জিয়া পরিবারের কোনো সদস্যের ছবি নেই। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ধানের শীষের নেতাকর্মীরা। যদি জিয়া, খালেদা এবং তারেকের ছবি পোস্টারে যুক্ত করা না হয় তাহলে এর সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলে জানান নেতাকর্মীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তাকে আওয়ামী লীগের দালাল বা গোপন এজেন্ট হিসেবেও অভিহিত করছেন কেউ কেউ।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সুলতান মনসুরের নির্বাচনী প্রধান অফিসের ছবি দিয়ে ছাত্রদল নেতা তাহমিদ খান শাওন বলেন, যা হওয়ার হয়ে গেছে, এখন ভুলগুলো শুধরে নেয়া হোক। নির্বাচনী কার্যালয়ের প্রধান গেট থেকে অবিলম্বে এই ব্যানার সরিয়ে খালেদা, তারেক জিয়ার ছবিসংবলিত ধানের শীষের ব্যানার রাখতে হবে। নির্বাচনী পোস্টার যেন তারেক জিয়া এবং খালেদা জিয়ার ছবি থাকে। তা না হলে আমাদেরকে পাবেন না। আপনার বিরুদ্ধে যেতে সময় লাগবে না।
স্থানীয় বিএনপি নেতা কিবরিয়া চৌধুরী লেখেন, নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। নির্বাচনী ব্যানারে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়ার ছবি নেই, নেই বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার ছবি। কিন্তু সবচেয়ে বেশি দুঃখ লাগে বিএনপির অতিউৎসাহীরা দলের প্রতীকের প্রচারণা না করে ব্যক্তির প্রচারণা শুরু করেছেন। তাদের মনে রাখা উচিত, ব্যক্তি ক্ষণস্থায়ী কিন্তু প্রতীক স্থায়ী।