সময় এখন ডেস্ক:
‘এই নির্বাচন আমরা মানতে পারতাছি না, আবারও নির্বাচন দেতে হইবে’- গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে এমন দাবিই করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চর্মোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। নিজের ভাই বরিশাল-৫ আসনের প্রার্থী ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমের জামানত হারানোর ঘটনায় তিনি স্তব্ধ হয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে অতিদ্রুত সময়ে নতুন তফসিলে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে নিজের আব্দারভর এক চিঠি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠিয়েছেন তিনি। ইসির প্রতিনিধির কাছে চর্মোনাই পীরের পক্ষে দলটির নেতারা এ চিঠিটি জমা দেন। চিঠিতে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘ইসলামী আন্দোলনের দলের প্রার্থীরা ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ২৯৮ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দেশের সব আসনেই প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় আগের দিন রাতেই মহাজোটের কর্মীরা শতকরা ৩০ থেকে ৭০ ভাগ ব্যালট পেপারে নৌকার সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে ফেলে। হাতপাখার প্রার্থী ও কর্মীদের ওপর হামলা চালায়, কেন্দ্র দখল করে। ভোটকেন্দ্রে এজেন্টদেরকে প্রবেশ করতে দেয়নি। অনেক কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের অপমান করে বের করে দেওয়া হয়েছে। ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে মহাজোটের মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য করা হয়।
ভোটারদেরকে ভোট দানে বাধা প্রদান করে নৌকা ছাড়া অন্য কোনও প্রতীকে ভোট দিতে দেয়নি। হাতপাখার এজেন্ট, ভোটার ও কর্মীদের মোবাইল ফোন নম্বর রেখে দিয়ে পরবর্তীতে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। পোলিং এজেন্টদেরকে অপহরণ ও অযথা গ্রেফতারসহ নানা অনিয়মের কারণে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য। এ নির্বাচন কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। নির্বাচনের নামে প্রহসন ও জনগণের অর্থ অপচয়ের মাধ্যমে প্রতারণা করা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের ফলাফল ইসলামী আন্দোলন প্রত্যাখ্যান করেছে।’
চর্মোনাই পীর এ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে অতিদ্রুত সময়ে নতুন তফসিলে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়ার দাবি করেন।
নির্বাচনে কমিশনে এ চিঠি জমা দেন, দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইমতিয়াজ আলম, ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী আবুল কাশেম, গণমাধ্যম সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম কবির।