তারেকের নির্দেশেই ঐক্যফ্রন্টের ৭ সাংসদ শপথ নেননি!

0

বিশেষ সংবাদদাতা:

সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী ঐক্যফ্রন্টের ৭ জন সাংসদ শপথ নেননি। শপথ নেবেন না বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। যদিও আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্যেও শুধুমাত্র প্রার্থীদের ব্যক্তিগত স্বচ্ছ ইমেজের কারনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া এই রাজনীতিবিদদের বহুদিনের আশা ছিল সংসদে যাবেন। তবে তাদেরকে সংসদে যোগ দেয়ার বিষয়ে লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের নির্দেশ রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।

নেত্রকোনা-১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ও বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামালের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, ঐক্যফ্রন্টের যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না; তিনি প্রতিবেদককে জানান, এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যা বলবেন, তা-ই হবে।

জানা গেছে, তারা এই নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন বাতিলের জন্য স্মারকলিপি দেন নির্বাচন কমিশনে। জোটের প্রার্থীরা বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে নির্বাচন কমিশনের গিয়ে এই স্মারকলিপি দেন।

আজ বেলা ১১টায় সংসদ ভবনের পূর্ব ব্লকের প্রথম লেভেলের শপথকক্ষে নতুন সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধান অনুযায়ী ২৯১ জনকে শপথবাক্য পাঠ করান দশম সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোটের নতুন এমপিরা একসঙ্গে সমস্বরে স্পিকারের সঙ্গে শপথবাক্য পাঠ করেন। সংসদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করানোর আগে নিয়ামানুযায়ী স্পিকার নিজেই শপথগ্রহণ করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী মহাজোটের ২৮৮ জন এবং ৩ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের শপথগ্রহণের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হল একাদশ জাতীয় সংসদের।

মহাজোট এমপিরা শপথ নিলেও এতে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত ৭ জনপ্রতিনিধি শপথ গ্রহণ করেননি। শপথ অনুষ্ঠানেও তাদের দেখা যায়নি। তারা ‘ভোট কারচুপি’ও ‘অনিয়ম’ এর প্রতিবাদস্বরূপ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়ে সরকারের বৈধতা দেয়ার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। যদিও এর পেছনে তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশ রয়েছে বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে শোনা যাচ্ছে।

তবে আজ শপথ না নিলেও তাদের সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে তাদের শপথ নিতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী- সংসদ অধিবেশন শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে তাদের শপথ নিতে হবে, তা না হলে তাদের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে।

শপথ অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে সকাল ১০টা থেকেই এমপিরা সংসদ ভবনে প্রবেশ করতে শুরু করেন। ১০ম সংসদের সংসদ নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একে একে প্রবেশ করতে থাকেন সংসদ ভবনের পূর্ব ব্লকের শপথকক্ষে। এমপিরাও হাত নেড়ে সংসদে প্রবেশ করেন। সব মিলে সংসদ ভবন এলাকায় একটি উৎসবমুখর পরিবেশের তৈরি হয়।

নিয়মানুযায়ী দুপুরে পার্লামেন্টারি বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে দলনেতা নির্বাচিত হবেন। তার পর দলের নেতা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে বলবেন, আমাদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে সংসদে। তখন রাষ্ট্রপতিকে তিনি সরকারপ্রধান করার অনুরোধ করবেন। তার পরেই গঠিত হবে নতুন সরকার।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!