হেঁসেল ঘর:
শীতকাল মানেই পিঠাপুলির সিজন। পিঠা ছাড়া শীতের যাবতীয় রসনাবিলাস অসম্পূর্ণ। শহুরে জীবনে পিঠার চল কিছুটা ঝিমিয়ে পড়লেও গ্রামাঞ্চলে পিঠার ধুম লাগা উৎসব এখনো যায়নি। আমাদের মধ্যে যে পিঠাগুলো এখনো জনপ্রিয় তার মধ্যে নক্সী পিঠা আর মুগ পাকন অন্যতম। আজ আমরা সহজ রেসিপিগুলো জানবো-
নক্সী পিঠা
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
চালের গুঁড়া- ৪ কাপ, পানি- ৩ কাপ, লবণ- সামান্য, ঘি- ১ টেবিল চামচ, ভাজার জন্য তেল- ৫০০ গ্রাম।
সিরার জন্য: গুড়- ১ কাপ, চিনি- ১ কাপ, পানি- ২ কাপ জ্বাল দিয়ে সিরা বানাতে হবে।
প্রস্তুত প্রণালী:
পানিতে লবণ আর ঘি দিয়ে চুলায় দিন। সেটা ফুটে উঠলে চালের গুঁড়া দিয়ে সিদ্ধ করে কাই বানিয়ে নিন। তারপর বেশ পুরু করে রুটি বানিয়ে পছন্দমতো আকারে। এবার মোটা লম্বা সুঁই বা খেজুর কাঁটা দিয়ে রুটিতে পছন্দমতো নকশা করে ফেলুন।
নক্সা করা পিঠাগুলো প্রথমে ডুবো তেলে ভেজে নিন। কিছুক্ষণ পর আবার তেলে ভেজে সিরায় দিয়ে ১ মিনিট রেখে তুলে নিন। ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন। ব্যস, হয়ে গেলো খুব সহজেই নক্সী পিঠা।
মুগ পাকন
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
সিদ্ধ চাল- ১ কাপ, ভাজা মুগডাল- ১ কাপ, ময়দা- ২ টেবিল-চামচ, মিহি করা চিনি- ৬ টেবিল-চামচ, লবণ- স্বাদমতো, ডিম- ২টি, বেকিং পাউডার- আধা চা-চামচ, ঘি- ২ টেবিল-চামচ, চিনি- ৪ কাপ, তেল- পরিমাণ মতো।
প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমে চাল ৩/৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। এরপর শুকনো করে চালগুলো গুঁড়া করে ফেলুন। এবারে ১ কাপ পানিতে অল্প লবণ দিয়ে চালের গুঁড়া ভালো করে লেই করে নিন। মুগডাল কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরে অল্প পানি দিয়ে সিদ্ধ করে সেগুলো মিহি করে বেটে নিন। ২ কাপ চিনির সঙ্গে ১ কাপ পানি মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে সিরা করুন এবার। পরে ময়দার সঙ্গে বেকিং পাউডার মিশিয়ে রাখুন।
পাত্রে গুঁড়াচিনি, ঘি মিশিয়ে ডিম দিয়ে ফেটে নিন। এর সঙ্গে ময়দা ভালো করে মেশাবেন। ময়দা মেশানো হয়ে গেলে চাল ও ডাল মিশাবেন। নরম হয়ে গেলে তাতে আরও ময়দা মিশিয়ে নিন। এবার সেই মিশ্রণ দিয়ে পুরু করে রুটি বেলে নিন। মোটা লম্বা সুঁই দিয়ে ছিদ্র করে নক্সা করে নিন। এতে করে ভিতরে সিরা ঢুকবে ভালোমতো।
এই প্রক্রিয়ার পরে মুগ পাকনগুলো ডুবো তেলে ভেজে নিয়ে সিরার মধ্যে ছেড়ে দিন। কিছুক্ষণ সিরায় রেখে পরে তুলে নিয়ে পরিবেশন করুন।