আইন আদালত ডেস্ক:
সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদাকে ঘুষ গ্রহণ সংক্রান্ত একটি মামলায় দণ্ডিত কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার ঢাকার দ্বিতীয় বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এ সময় আদালতের বিচারক এইচ এম রুহুল ইমরান জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
‘খবরের অন্তরালে’ নামের একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার নাম করে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার মামলায় নাজমুল হুদাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন নিম্ন আদালত। এরপর ২০১৭ সালে তার সাজার মেয়াদ কমিয়ে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত,‘রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে’র এক ঠিকাদারের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক এই যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছিল গত ১৮ নভেম্বর। রায়ের কপিটি বিচারিক আদালতের হাতে পৌঁছানোর ৪৫ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘সরকারের উচ্চপর্যায়ে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি করা হলে তা জাতীয় স্বার্থ, অর্থনীতি ও দেশের ভাবমূর্তির জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।’
রায়ে বলা হয়, দুর্নীতি একটি অভিশাপ। সমাজের সবক্ষেত্রে দুর্নীতি দেখা যায়। দুর্নীতি সমাজের নৈতিক অবস্থা নষ্ট করে এবং সরকারি কর্মচারীর দুর্নীতি কেবল নৈতিক অবস্থাই নষ্ট করে না বরং এটি জাতীয় অর্থনীতি ও জাতীয় স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর। সরকারের উচ্চপর্যায়ে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি করা হলে তা জাতীয় স্বার্থ, অর্থনীতি ও দেশের ভাবমূর্তির জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ঘটনা ও তথ্যাদি পর্যালোচনা করে রায়ে বলা হয়, আপিলের কোনো সারবেত্ত্বা পাওয়া যায়নি। আপিল খারিজ করা হলো। বাকি সাজা ভোগ করতে বিচারিক আদালতের রায়ের কপি গ্রহণের ৪৫ দিনের মধ্যে আপিলকারী (নাজমুল হুদা) বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। এতে ব্যর্থ হলে বিচারিক আদালত তার গ্রেপ্তার নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
দুই বারের মন্ত্রী নাজমুল হুদা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। পরে বিএনপি থেকে বেরিয়ে তিনি প্রথমে বিএনএফ গঠন করেন। ওই দলও না টিকলে তিনি গঠন করেন তৃণমূল বিএনপি।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দেন নাজমুল হুদা। কিন্তু জোট থেকে নমিনেশন না পেয়ে ঢাকা-১৭ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যান তিনি।
1