বিনোদন ডেস্ক:
ব্যাপক আলোচিত আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে তার সমর্থনকারীরাও ভোট দেননি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আরপিও অনুযায়ী, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে তিনি ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থন ফরম জমা দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তার ঝুলিতে ভোট পড়েছে মাত্র ৬৩৮টি।
এ আসনে ভোটার ৩ লাখ ১২ হাজার ৮১ জন। আরপিও অনুযায়ী এ আসনে প্রার্থী হতে প্রয়োজন ৩ হাজার ১০৩ ভোটারের স্বাক্ষর। হিরো আলমের দাবি- মনোনয়নপত্রের সঙ্গে তিনি ৩ হাজার ২০০ ভোটারের সমর্থন ও স্বাক্ষরসহ ফরম জমা দিয়েছিলেন। তবে হিরো আলমকে সমর্থন দেওয়া ভোটারের স্বাক্ষর সঠিক নয় মর্মে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
পরে ইলেকশন কমিশনে আবেদন করেন হিরো আলম। সেখানেও তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। এক পর্যায়ে উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিলে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান। রিটার্নিং কর্মকর্তা আদালতের রায় অনুযায়ী হিরো আলমকে বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করেন এবং তার পছন্দের সিংহ প্রতীক বরাদ্দ দেন। এই প্রতীক নিয়ে তিনি নির্বাচনের মাঠে নামেন। তার প্রচার-প্রচারণাও বেশ জমজমাট ছিল। ভোট চাইতে গেলে অনেকে হিরো আলমকে খাবারও খাইয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে সমর্থনকারীরাই ভোট দেননি।
এ আসনে ১ লাখ ২৮ হাজার ৫৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ধানের শীষের প্রার্থী মোশারফ হোসেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে মহাজোটের প্রার্থী জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন পেয়েছেন ৮৬ হাজার ৪৮ ভোট।
২০১৮-তে গুগল সার্চের শীর্ষে খালেদা-হিরো আলম
বিশ্বের সর্ববৃহৎ সার্চ ইঞ্জিন গুগল ২০১৮’র সর্বোচ্চ সার্চের তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় বাংলাদেশিদের মধ্যে উঠে এসেছে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও বগুড়ার আলোচিত ইউটিউব হিরো আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
গুগল ট্রেন্ডসের ওয়েবসাইটে সম্প্রতি সর্বোচ্চ সার্চের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। দেশ ও বৈশ্বিকভাবে গুগল সার্চ ট্রেন্ড বিবেচনা করে গুগল ৩টি বিভাগে এই সার্চ ট্রেন্ড প্রকাশ করেছে। এগুলো হলো- ‘সার্চেস’, ‘পিপল’ ও ‘মুভিজ’।
বাংলাদেশ থেকে ‘পিপল’ বিভাগে শীর্ষ ১০ এ আছেন মাত্র দুজন বাংলাদেশি- খালেদা জিয়া ও হিরো আলম। এ তালিকায় খালেদা জিয়া ও হিরো আলমের অবস্থান যথাক্রমে ৯ম ও ১০ম।