আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি মিশরের জেলে বিনা চিকিৎসায় মা’রা যান। এবার তিনিসহ আন্তর্জাতিক উ’গ্র সন্ত্রা’সবাদী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত মুসলিম ব্রাদারহুডের ৮৯ সদস্যের সম্পদ ক্রোক করা হয়েছে।
রোববার মিশরের এক আদালত এই আদেশ দেয় বলে বিচার বিভাগীয় এক সূত্র জানায়।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে সূত্র জানায়, জরুরি আদালত উ’গ্র সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের ৮৯ জন নেতা ও সদস্যের সম্পদ ক্রোক করার আদেশ দিয়েছে এবং তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
আরব বসন্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালে মিশরে জনসাধারণের বিক্ষো’ভের মুখে দেশটির ৩০ বছরের একনায়ক হোসনি মোবারকের প’তন হয়।
বিপ্লবের পর দেশটিতে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিক পন্থায় অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোহাম্মদ মুরসি নির্বাচিত হন। কিন্তু ১ বছরের মাথায় ২০১৩ সালে এক সেনা অ’ভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। এর পরই তার বিচার হয় এবং তাকে জেলে পুরে দেওয়া হয়।
২০১৯ সালের জুনে এক শুনানিতে অংশ নেয়ার সময় আদালত কক্ষে মা’রা যান মুরসি।
মিশরীয় আদালতের সম্পদ ক্রোকের এই আদেশ তার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
মিশরীয় আদালতের এই আদেশে মুসলিম ব্রাদারহুডের সর্বোচ্চ নেতা মোহাম্মদ বদি, তার সহকারী খাইরাত আল-সাতের ও পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ বেলতাজির নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তারা সবাই বর্তমানে জেলে আছেন।
ক্রোকের নির্দেশ পাওয়া সম্পদের মূল্য ও পরিমাণ সম্পর্কে সূত্রটি বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
উল্লেখ্য, মুরসির পত’নের পর তার সময়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে থাকা আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি পরবর্তীতে দেশটির শাসনক্ষমতা গ্রহণ করেন। তার ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে শুরু হয় ব্যাপক ধরপাকড়।
মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রা’সী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে ২০১৩ সালে করা হয় নিষি’দ্ধ। আর জেলে পোরা হয় দলের হাজারো নেতাকর্মী ও সমর্থককে। মৃ’ত্যুদ’ণ্ডও দেয়া হয় বহুজনকে। এ পরিস্থিতিতে অনেক বাধ্য হন দেশ ছেড়ে চলে যেতে। সূত্র: মিডলইস্ট আই।
45