বিশেষ প্রতিবেদন:
খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন। লন্ডনে বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ডিসেম্বরেই বিয়ে হবার কথা ছিলো, কিন্তু লন্ডন জুড়ে করোনার প্রকোপ তীব্র হওয়ার প্রেক্ষিতে বিয়ে পিছিয়ে গেছে।
স্বামী আরাফাত রহমান কোকোর মৃ’ত্যুর পর মালয়েশিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান শর্মিলা। সেখানে ২ সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছেন। প্রথমে তারেক জিয়ার কাছাকাছি বসবাস করলেও এখন পশ্চিম লন্ডনে চলে গেছেন।
জানা গেছে, শর্মিলা যাকে বিয়ে করছেন, তিনি লন্ডনে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী বাংলাদেশী। বিএনপির একজন বড় ডোনার। খালেদা জিয়ার সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। গত বছরের শুরুতে শর্মিলার সাথে ঐ ব্যবসায়ীর পরিচয় হয়। শর্মিলাকে নিয়মিত আর্থিক সহায়তা করেন ঐ ব্যবসায়ী।
আরাফাত রহমান কোকো বাংলাদেশে দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে মালয়েশিয়ায় সপরিবারে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানে রহস্যজনকভাবে তার মৃ’ত্যু হয়। এরপর শর্মিলা আর মালয়েশিয়া থাকেননি, লন্ডনে পাড়ি জমান।
জানা গেছে, প্রথম দিকে খালেদা জিয়াই লন্ডনে শর্মিলার যাবতীয় খরচ বহন করতেন। কিন্তু খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হবার পর এই অর্থ সহায়তা বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় কোকোর বড় ভাই তারেক জিয়া কিছুদিন কোকোর পরিবারের দেখভাল করতেন। কিন্তু তাও বন্ধ হয়ে যায়।
সৌদি আরবে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ এক সাবেক বিএনপি নেতা নিয়মিত কোকোর পরিবারকে টাকা পাঠান। কিন্তু নানা জটিলতায় সেটিও অ’নিয়মিত হয়ে গেছে।
সৈয়দা শর্মিলা রহমান সবচেয়ে বেশী আলোচনায় আসেন খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হবার পর। এ সময় তিনি একাধিকবার ঢাকায় আসেন। জেলে খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। এর ফলে বিএনপির রাজনীতিতে তার প্রভাব বাড়ে। আর এর অনিবার্য পরিণতি হিসেবে তারেকের সঙ্গে দ্বৈরথ তৈরী হয় শর্মিলার। এ সময় খালেদা জিয়া শর্মিলার পক্ষ নিয়েছিলেন বলেও জানা যায়।
লন্ডন বিএনপির অন্তত ২ জন নেতা বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে আর্থিক সমস্যায় পড়েন শর্মিলা রহমান সিঁথি। আর এই সূত্রেই ঐ ব্যবসায়ী এগিয়ে আসেন।
একটি সূত্র বলছে, শর্মিলার বিয়েতে খালেদা জিয়ার সম্মতি রয়েছে। কিন্তু এ সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। বাংলাইনসাইডার।
436