সময় এখন ডেস্ক:
সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধর্ষণের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ ওঠা আওয়ামী লীগ নেতা বিএনপি করতে বলে দাবি করেছেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
আজ সোমবার ৭ই জানুয়ারি দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাগো বাংলা ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নাগরিকদের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচন-২০১৮: অপরাজনীতির প্রস্থান ও নতুন অধ্যায়ের সূচনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ দাবি করেন।
এই গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘ওই ধর্ষণের ঘটনায় রাজনীতির সম্পর্ক কিন্তু খুবই কম। মহিলা সমিতির ২ জন ইতোমধ্যে নোয়াখালীর সুবর্ণচর ঘুরে এসেছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনাটি নেহায়েত ব্যক্তিগত কারণে ঘটেছে। তিনি (অভিযুক্ত ব্যক্তি) অতীতে বিএনপিতে ছিলেন, নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের অত্যন্ত নিম্নস্তরের নেতা ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো সরকার ওই ঘটনায় ‘আউট অব দ্য ওয়ে’তে পদক্ষেপ নিয়েছেন। ইতোমধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আমিও চাই তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে সাবেক বিচারপতি মানিক বলেন, ‘নির্বাচনে অনিয়মের কথা বলা হয়েছে। এ নির্বাচনে বহু দেশের পর্যবেক্ষক এসেছেন নেপাল, ভারত, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি), যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে। কেউ কিন্তু মৌলিক অনিয়মের কোনো কথা বলেননি। ছোটখাটো দুই একটি ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশেই একশ ভাগ অনিয়মহীন নির্বাচন হয় না। এমনকি যুক্তরাজ্যের মতো দেশেও হয় না, এখনও হয় না। যেখানে আমি আমার জীবনের বড় সময় কাটিয়েছি। সুতরাং একেবারে একশত ভাগ ধোয়া তুলশিপাতার নির্বাচন হবে, এটা আশা করা যায় না। তবে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে এতো নিষ্কলুষ নির্বাচন, এতো প্রচ্ছন্ন নির্বাচন আমি আগে কখনও দেখিনি, অনেক পর্যবেক্ষকই দেখেননি।’
উল্লেখ্য, ধর্ষণের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে সাতজন ব্যাক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
3