১৮শ কেবিন ক্রু ওজন না কমালে ‘চাকরি নট’- নির্দেশ পাকিস্থান এয়ারের

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পাকিস্থান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস (পিআইএ) কর্তৃপক্ষ মাত্রাতিরিক্ত ওজনের কোনও কেবিন ক্রুকে আর রাখবে না। এর অংশ হিসেবে নিজেদের ১৮শ কেবিন ক্রু সদস্যকে কঠোর একটি শর্ত দিয়েছে। ৬ মাসের মধ্যে ওজন কমাতে হবে তাদের। নয়তো চাকরি হারাবেন তারা। গত ১ জানুয়ারি এমন আদেশ দেয় পাকিস্থানের জাতীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থা।

পিআইএ’র জেনারেল ম্যানেজার (ফ্লাইট সার্ভিসেস) আমির বশির স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, কেবিন ক্রুদের প্রতি মাসে ৫ পাউন্ড করে ওজন কমাতে হবে। এভাবে ৬ মাসে ৩০ পাউন্ড কমলে ফ্লাইট অ্যাটেনড্যান্টরা দায়িত্ব পালন করতে পারবেন বিমানের অভ্যন্তরে।

কেবিন ক্রুদের জন্য উচ্চতা ও শারীরিক গড়ন অনুযায়ী প্রস্তাবিত ওজন চার্ট প্রকাশ করেছে পিআইএ। উদাহরণস্বরূপ ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার নারীদের ওজন ১৩৩ থেকে ১৫৭ পাউন্ড প্রযোজ্য। এখন থেকে সব কেবিন ক্রুর ওজন পরীক্ষা করে তথ্য রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এরপর ঘাম ঝরানোর জন্য প্রতি মাসে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে গ্রুমিং সেলে।

পিআইএ’র মুখপাত্র মাশহুদ তাজওয়ার মনে করেন, শতকরা ৫ শতাংশ কেবিন ক্রুকে চাকরি বাঁচাতে ১ জুলাইয়ের মধ্যে ওজন কমাতে হবে। তার মন্তব্য, সব যাত্রী উড়োজাহাজে স্লিম, স্মার্ট ও ফিট কেবিন ক্রু দেখতে চায়। মেদবহুল কেবিন ক্রুর বিষয়ে অভিযোগ এসেছে বলেও জানান তিনি। এজন্য পিআইএ ওজন কমাতে কঠোর নির্দেশনা দিলো।

পাকিস্থান এয়ারলাইন্সের কাণ্ড: মাঝপথে যাত্রী নামিয়ে বাস ধরার পরামর্শ!

পিআইএ’র কাণ্ড চোখ কপালে তুলে দিয়েছে সারাবিশ্বের ভ্রমণপ্রিয়দের। গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া দূরের কথা, উল্টে প্রায় সাড়ে ৬শ’ কি.মি দূর পথে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে বাসে চড়ে গন্তব্যে চলে যেতে বললো ওই ফ্লাইটের কর্মকর্তারা। গোঁয়ার পাকিস্থানী যাত্রীরা বিমানে বসেই রীতিমত ঝগড়া ও হাতাহাতির পর্যায়ে নিয়ে গেলো ঘটনাটি।

জানা যায়, আবুধাবি থেকে পাকিস্থানের পাঞ্জাব প্রদেশের রহিম ইয়ার খান শহর অভিমুখী পিআইএ’র ওই ফ্লাইট আকস্মিক মাঝপথে লাহোর বিমানবন্দরে অবতরণ করে। কর্তৃপক্ষ জানায়, কুয়াশার কারনে প্লেনটি অবতরণে বাধ্য হয়।

এ সময় ফ্লাইটের ক্রু’রা যাত্রীদের নেমে বাসে চড়ে তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু যাত্রীরা রাজি না হওয়ায় ফ্লাইটের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বৃদ্ধ, নারী, শিশুসহ যাত্রীদের দমবন্ধ হয়ে মৃত্যুদশার অবস্থা তৈরি হয়।

উল্লেখ্য, লাহোর বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের গন্তব্য রহিম ইয়ার খান শহরের দূরত্ব ৬২৫ কিলোমিটার।

একপর্যায়ে যাত্রীরা ফ্লাইটের ক্রু’দের অনুরোধ জানান, অন্তত তাদের যেনো মুলতান বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়। যদিও সেখান থেকে যাত্রীদের গন্তব্য আরো প্রায় সাড়ে ৩শ’ কিলোমিটার!

এ অবস্থায় শেষ পর্যন্ত যাত্রীদের কপালে কি ঘটেছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি সংবাদমাধ্যম। ঘটনাটি গত বছরের।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!