সময় এখন ডেস্ক:
সচিবালয়ে দায়িত্ব নিয়ে নিজ দপ্তরে আলাপকালে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে সহযোগিতা চাইলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার দুপুরে তথ্যমন্ত্রী এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়তে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যে ভিশন নিয়ে আমরা আগাচ্ছি, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বাস্তবায়ন করবো। আর সেজন্য গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাই।’
হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনার সময়ে গণমাধ্যমের বিকাশ ঘটেছে। এছাড়া টেলিভিশন এবং অনলাইন গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে শেখ হাসিনা সময়েই। তবে আমরা জানি, অনেক ভুয়া অনলাইন কিছু উল্টা-পাল্টা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। অনেকের চরিত্র হননের চেষ্টা করছে তারা। আমরা আপনাদের (সাংবাদিকদের) সহযোগিতা নিয়ে এগুলো মোকাবিলা করবো।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দিন বদল হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। এক সময় বাংলাদেশের নাম লেখা হতো অন্যতম দরিদ্র দেশ হিসেবে। আজ সেই সুযোগ আর নেই। বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ।’
বাসে চড়ে স্মৃতিসৌধে মন্ত্রিসভার সদস্যরা
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বাসে করে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান নতুন সরকারের মন্ত্রীরা। একসঙ্গে মন্ত্রিদের এমন বাস যাত্রার ঘটনা সাধারণত দেখা যায় না।
মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার সদস্যরা স্মৃতিসৌধে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর আগে সকালে ধানমণ্ডিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।
সোমবার শপথ নেয়ার পরই জাতীয় পতাকা সম্বলিত গাড়ি পৌঁছে যায় মন্ত্রিদের ঠিকানায়। তবে সেই গাড়িতে না গিয়ে সবাই যাত্রীবাহী বাসে সাভার যান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া মন্ত্রিসভার বাকি ৪৬ সদস্যকে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর থেকে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত ৪টি মিনিবাসে করে সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধে যান। সেখান থেকে আবার সেসব বাসেই ঢাকায় সংসদ ভবনের কাছে নামেন তাঁরা।
এদিকে গাড়িতে আসন সঙ্কুলান না হওয়ায় গাড়ির মেঝে ফাঁকা জায়গায় বাড়তি আসন জুড়ে দেয়া হয়। সেসব আসনেও কয়েকজনকে বসতে দেখা যায়।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এ বিষয়ে বলেন, আগামীকালও আমরা বাসে করেই টুঙ্গীপাড়া যাব বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে।’
5