সময় এখন ডেস্ক:
‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়েছে সবাই। দুনিয়ার সব গণতান্ত্রিক দেশই বাংলাদেশের নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়েছে, প্রসংশা করেছে। এমতাবস্থায় এ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় সংলাপের দাবি হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়।’ এমনটাই বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমস্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ফ্লাইওভার ও চারলেন সড়কের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা কী বললেন তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। বাংলাদেশের জনগণ কী বললো সেটা হলো বড় কথা। জনগণ বিপুলভাবে শেখ হাসিনার উন্নয়ন, গণতন্ত্র এবং সততার পক্ষে রায় দিয়েছে। ‘৭০-এর পর নৌকার পক্ষে এমন গণজোয়ার কেউ আর দেখেনি। এই নির্বাচন যদি তারা মনে করে সঠিক নয় তারা বলতেই পারে।
তিনি বলেন, এ দেশের জনগণ বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগ-মহাজোটকে বিজয়ী করেছে। কাজেই এই নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন পৃথিবীর কোথাও নেই এবং বাংলাদেশেও নেই। জনগণের মাঝেও নেই। তাদের জনগণ ভোট না দিয়ে প্রত্যাখান করেছে। এখন তারা নানা দাবি জানিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, তারা যে সংসদে নির্বাচিত হয়ে আসবে না এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটাও তো অবৈধ। এটার বৈধ্যতা আছে? জনগণের রায়কে যারা অসম্মান করেছে সেটা কি বৈধ? আমি যদি প্রশ্ন করি, কী জবাব তারা দেবে? তারা আগে সংসদে আসুক। অধিবেশনে যোগ দিক। আমি তাদের আহ্বান করছি তারা যেন সংসদে যোগ দেয়।
‘মন্ত্রীত্ব দেয়া হবে- এমন শর্তে জোট করা হয়নি’
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের নবগঠিত মন্ত্রিসভায় শরিক শরিক দলগুলোর কেউ স্থান না পাওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা জোট করেছি। জোট করার অর্থ এই নয় যে, আমরা শর্ত দিয়েছি যে, মন্ত্রী করতেই হবে। ১৪ দল আমাদের দুঃসময়ের শরিক। তারা অতীতে ছিলেন, ভবিষ্যতে থাকবেন না সে কথা তো আমরা বলতে পারছি না।
গত মঙ্গলবার ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।