সময় এখন ডেস্ক:
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে অস্বীকারকারী এবং মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্থানি সেনাবাহিনীর সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, ধ্বংসযজ্ঞ চালানোসহ যুদ্ধাপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়া সংগঠন জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে আর কোনও রাজনীতি নয়, উচিৎ শিক্ষা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
গণামধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জামায়াতকে নিয়ে রাজনীতিতে নামা ঠিক হয় নাই, ভবিষ্যতে আর করবো না। উচিৎ শিক্ষা পেয়েছি।’
শনিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় মতিঝিলে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘জামায়াতের ২২ জন প্রার্থীকে ধানের শীষের প্রতীক দেওয়া হবে এ বিষয়টি আমি জানতাম না। প্রতীক দেওয়ার পরে আমরা বিএনপির কাছে এর ব্যাখ্যাও চেয়েছিলাম।’
লিখিত বক্তব্যে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, ‘তাড়াতাড়ি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃত যেসব ভুল-ক্রটি হয়েছে তা সংশোধন করে ভবিষ্যতের জন্য সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা হবে।’
জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন অনিচ্ছাকৃত ভুলক্রটি কিনা এবং জামায়াত ছেড়ে ঐক্যফ্রন্টে আসতে বিএনপিকে চাপ দেওয়া হবে কিনা সে প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি তো মনে করি, জামায়াতকে ছেড়ে আসতে বিএনপিকে চাপ দেওয়া হতে পারে।’
বিএনপির সঙ্গে জামায়াত থাকলে ভবিষ্যতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আপনারা থাকবেন কিনা এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, জামায়াতকে নিয়ে কোনও রাজনীতি করবো না আর আমরা। অবিলম্বে জামায়াতে বিষয়ে বিএনপির কাছ থেকে আমরা সুরাহা চাই।’
ইতিপূর্বে গত ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবসে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো শেষে ড. কামালসহ ঐক্যফ্রন্ট নেতাদেরকে জামায়াতে ইসলামী বিষয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের ওপর চটে গিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন অশালীনভাবে পাল্টা প্রশ্ন করে বসেন, ‘কত পয়সা পেয়েছো এসব প্রশ্ন করতে? চিনে রাখবো। কত পয়সা দিয়েছে? চুপ করো, খামোশ।’
1