আল-জাজিরার বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ে হাকিকা টিভিতে রিপোর্ট প্রকাশ

0

সময় এখন ডেস্ক:

বহু ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে অর্জিত আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ। জন্মলগ্ন থেকেই মাথা উঁচু করে বাঁচার তীব্র আকাঙ্খাই দেশকে সগর্বে টিকিয়ে রেখেছে বিশ্বের মানচিত্রে। ২০২১ সালে এসে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের এক রোল মডেলে পরিণত হয়েছে বিশ্ববাসীর কাছে।

তবে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা সুনির্দিষ্ট কিছু মহল একেবারেই মেনে নিতে পারছে না বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা। যখন উন্নয়নের সব মাপকাঠিতে বাংলাদেশ অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে, তখনই দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জড়িয়ে প্রকাশ করা হচ্ছে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ।

এবার আন্তর্জাতিক মিডিয়া ‘হাকিকা টিভির’ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উঠে এসেছে বাংলাদেশকে নিয়ে প্রচারিত গুজবে ভরা আল-জাজিজার প্রতিবেদনের অ’সারতা, অ’সততা ও অ’সংলগ্নতা।

প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বাংলাদেশের ও দেশের বাইরের কয়েকজন ব্যক্তি কীভাবে বিভিন্ন ‘আন্তর্জাতিক’ নামধারী মিডিয়ায় দেশের নামে গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে।

জুলকারনাইন সায়ের খান সামি, তাসনিম খলিল, ডেভিড বার্গম্যান, সাবেক মেজর দেলোয়ার, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন এবং কনক সারওয়ারসহ আরও অনেকে দেশবিরোধী ব্যক্তি নানা রকমের মনগড়া গল্প ছড়িয়ে নিত্যনতুন ষড়’যন্ত্রের ছক কাটছেন। এসব ব্যক্তির কেউই দেশে অবস্থান করছেন না। বিএনপি-জামায়াত ঘরানার এসব ব্যক্তি দেশের আইনের হাত থেকে বাঁচার জন্য আগেভাগেই দেশ ছেড়েছেন।

‘হাকিকা টিভি’র প্রচারিত প্রতিবেদনে আল-জাজিরার বাংলাদেশবিরোধী ষড়’যন্ত্রের আদ্যোপান্তও উঠে এসেছে। সেখানে দেখানো হয়েছে কীভাবে বাবার ভুয়া নাম দিয়ে পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স করেন সামি। অনুসন্ধানে দেখা যায়, দুই জায়গায় তিনি বাবার নাম দিয়েছেন ওয়াসিত খান (Wasit Khan)। কিন্তু তার বাবার প্রকৃত নাম বাসিত খান (Basit Khan)।

তথ্যচিত্রে আরও দেখানো হয়েছে কীভাবে মা ‘দক ও অন্ধকার জগতে জড়িয়ে বেছে নেন নতুন নাম সায়ের জুলকারনাইন। আরও জানা যায়, এডিক্ট হওয়ার কারণে আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে সহপাঠী বন্ধুরাও তাকে এড়িয়ে চলত।

সামির স্কুলের এক সহপাঠী ওই তথ্যচিত্রে জানান, সামি কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পরে আমাদের স্কুলে ভর্তি হয়। তখন থেকেই ছোটখাটো নে’শা করত। সে টাকা জোগাড় করতে বিভিন্নভাবে মানুষের সঙ্গে জালিয়াতি করে। কুমিল্লা সিএমএইচএ মানসিক রোগের চিকিৎসাও নিত। সামি ছিল ব’দমেজাজি।

সামির বাবা লে. কর্নেল আবদুল বাসিত মৃ’ত্যুর আগে ত্যা’জ্যপুত্র করে যান সামিকে। সেই নথিও প্রকাশ করা হয়েছে হাকিকার তথ্যচিত্রটিতে।

২০০১ সালে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পরিচয় দিয়ে এবং ওই র‌্যাংকের ইউনিফর্ম পরে সেনানিবাস এলাকায় ধরা পড়েন তিনি। র‌্যাব কর্মকর্তা পরিচয়ে জালিয়াতির মামলায় তিনি ২০০৬ সালের জুলাইয়ে গ্রেপ্তার হন। এসব দিক তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।

এর আগে ২০০৩ সালে ইন্টিগ্রেটেড সিকিউরিটি সার্ভিস নামের প্রতিষ্ঠানে মো. তানভীর নামে যোগ দেন সামি। দায়িত্ব পালনে অব’হেলা ও অর্থ লোপাটের অভিযোগে ২০০৬ সালে তাকে চাকরি থেকে অব্যা’হতি দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক মেজর (অব.) আবুল হাসনাত এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

প্রতিবেদনটির শেষ অংশে ‘আন্তর্জাতিক’ গণমাধ্যম আল-জাজিরার প্রকৃত চেহারা তুলে ধরা হয়। দেশ স্বাধীনের পর যখন একাত্তরের ঘা’তকদের বিচার শুরু হয় তখন সেই যু’দ্ধাপরাধীদের পক্ষেই কাজ করে গেছে আল-জাজিরা।

আল-জাজিরা ডেভিড বার্গম্যানের পিঠে ভর করে ভূতের মতো চেপে বসে বাংলাদেশের যু’দ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরু’দ্ধে একের পর এক প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছে। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এই কু-চক্রীমহল একত্রিত হয়ে আরও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করবে বলেও আশ’ঙ্কা প্রকাশ করেছে হাকিকা টিভি। সময়টিভি।

শেয়ার করুন !
  • 135
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!