সময় এখন ডেস্ক:
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভেতর নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা নিয়ে ফের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িতদের ‘সুবিধালোভী, ভাসমান, নষ্ট-ভ্রষ্ট, বিপথগামী এবং দেশ ও দলের জন্য ক্ষ’তিকর’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
গতকাল নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রবীণ নেতা মাহতাব ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ টানা একযুগ ধরে ক্ষমতায়। তাই দলে সুবিধালোভী, ভাসমান অস্তিত্ববিহীন কিছু মানুষের ভিড় বেড়েছে। এদের লক্ষ্য একটাই— পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে পদ বাগিয়ে নিয়ে নিজেদের আখের গোছানো এবং নেতৃত্বের যোগ্যতাকে খাটো করে, অ’সম্মান করে কু-উদ্দেশ্যে নিজেকে যোগ্য হিসেবে জাহির করা।
মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যকার ঐতিহাসিক একটি ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, ইতিহাস থেকে আমাদের রাজনীতিকদের, নেতাকর্মীদের শিক্ষা নিতে হবে। কারণ আমাদের কেউ কেউ আজ নষ্ট-ভ্রষ্ট। এরা বিপথগামী এবং দেশ ও দলের জন্য ক্ষ’তিকর।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃ’ত্যুর পর গত ৩ বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। সম্প্রতি নগর আওয়ামী লীগের মেয়াদ শেষ হওয়া কমিটি বিলু’প্ত করে সম্মেলন অথবা কেন্দ্র থেকে নতুন কমিটি ঘোষণার দাবিতে চট্টগ্রাম শহরজুড়ে ব্যানার টানানো হয়।
এ নিয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি দলের এক সভায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে মাহতাব বলেন, তাহলে আমরা কি অযোগ্য?
শনিবারের সভায় নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনও একই বিষয়ে ইঙ্গিত করে বলেন, সংকীর্ণতা ও ব্যক্তিস্বার্থ পরিহার করে দলের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। সাধারণ মানুষের মাঝে যার গ্রহণযোগ্যতা আছে, যিনি ঝড়ঝাপ্টা সহ্য করতে পারেন, তাকে টেনে আনতে হবে। আমরা প্রায়ই নিজেকে প্রাধান্য দিই। কিন্তু অন্যের যোগ্যতা ও সক্ষমতাকে আমলে নিতে চাই না। এতে দলের ভিত্তি দুর্বল হয়।
সভায় এক সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে প্রতিটি ওয়ার্ডে কার্যকরী কমিটির সভা করে নতুন সদস্যদের যাচাই-বাছাই এবং ৭ মার্চের কর্মসূচি পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন- নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুনীল কুমার সরকার, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ,
শফিক আদনান, চৌধুরী, হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, মোহাম্মদ হোসেনসহ বিভিন্ন সাংগঠনিক থানা ও ওয়ার্ডের নেতারা।