ওবায়দুল কাদের রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন, গুজব ছড়াচ্ছে প্রথম আলো

0

বিশেষ প্রতিবেদন:

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নিয়েছেন ২০১৮ এর ২৪ এপ্রিল। আগামী ২০২৩ সালে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতি পদে বহাল থাকবেন।

২০২৩ সাল আসতে অনেক বাকি। রাষ্ট্রপতি পদ নিয়ে এ মুহূর্তে সরকারের কিংবা আওয়ামী লীগে কোনো আলোচনা নেই। এর মধ্যে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা নোয়াখালীতে রাষ্ট্রপতি নিয়ে আলোচনার গুঞ্জন আবিস্কার করে ফেলেছে!

দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি ওবায়দুল কাদের হতে পারেন, এমন আলোচনার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ঐ বিত’র্কপ্রিয় পত্রিকাটি।

আওয়ামী লীগ শুধু নয়, যে কোনো দলের নেতাকর্মীরা চায়ের আড্ডায় নানারকম আলোচনাই করে। যেমন শেখ হাসিনার পর আওয়ামী লীগের হাল কে ধরবেন? এ ধরণের আলোচনায় ঘন্টার পর ঘন্টা পার করেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। আর মন্ত্রীসভার রদবদল তো আওয়ামী লীগের যে কোন কার্যালয়ে নিত্য আলোচনার বিষয়। এসব চায়ের কাপে ঝড় তোলা কল্প-বিলাসী আলোচনা কোনো পর্যায়েই গুরুত্ব বহন করে না।

এরকম একটি মেঠো, অলস আড্ডার বিষয়কে আওয়ামীবিরোধী এই পত্রিকাটি কেন ইস্যু বানালো, যেটি এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার বিষয়। এমনিতেই প্রথম আলোর সম্পাদকীয় নীতি খুবই স্পষ্ট। পত্রিকাটি বিরাজনীতিকরণের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। ওয়ান ইলেভেনের সময় ‘দুই নেত্রীকে চলে যেতে হবে’ শিরোনামে প্রথম পাতায় সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছিলো তারা।

বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের চরিত্র হ’ননের নূন্যতম সুযোগটুকুও হাতছাড়া করে না প্রথম আলো। পদ্মা সেতুর প্রকল্পে দুর্নীতির কাল্পনিক অভিযোগ তুলে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ করাসহ বিশ্বব্যাপী দেশের ভাবমূর্তি ক্ষু’ন্ন করা সেই পত্রিকাটি এখন ওবায়দুল কাদেরকে রাষ্ট্রপতি করার গুঞ্জনকে সামনে আনলো কেন?

এর মাধ্যমে কি বিরাজনীতিকরণের শক্তির নতুন পরিকল্পনার ইঙ্গিত দেয়া হলো? নাকি আওয়ামী লীগে অ’বিশ্বাস এবং গ্রুপিংকে উ’স্কে দিতে গুঞ্জন ও গুজবকে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়া হলো? অথবা দলের ভেতর যেন সাধারণ সম্পাদকের অবস্থান দুর্বল হয়ে যায় সেজন্যই এটি বাজারে আনা হলো?

ওবায়দুল কাদের একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আওয়ামী লীগ সম্পর্কে যারা নূন্যতম খোঁজ খবর রাখেন তারা জানেন, তার এখনই ‘রাষ্ট্রপতি’ পদে যাবার কোন বাস্তব প্রেক্ষাপট নেই। আওয়ামী লীগের মধ্যে রাষ্ট্রপতি ভাবনা এখনও শুরুই হয়নি। তাই এ সময় অ’বাস্তব গুঞ্জনকে সামনে নিয়ে আসা আরেকটি গভীর রাজনৈতিক ষড়’যন্ত্রের অংশ কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।

বাংলাদেশে এখন বিরাজনীতিকরণের পক্ষে সুশীলদের কিছু দৃশ্যমান তৎপরতা লক্ষণীয়। ইস্যু পেলেই সুশীলরা তা লুফে নিচ্ছে। যেমন, মোশতাকের মৃ’ত্যুর পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ইস্যু বানানো হয়েছে। ওয়ান-ইলেভেনের মতো আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিতে ভিন্ন চিন্তাকে উ’স্কে দেয়ার চেষ্টা চলছে।

একটি মহল মিনমিনিয়ে জাতীয় সরকারের কথা বলছে। সব মিলিয়ে একটি ষড়’যন্ত্রের আলামত দৃশ্যমান। সেই ষড়’যন্ত্রের অংশ হিসেবেই ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে বিত’র্ক উ’স্কে দেয়া কি না, খতিয়ে দেখা দরকার। বাংলাইনসাইডার।

শেয়ার করুন !
  • 200
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!