বিশেষ প্রতিবেদন:
জনসম্পৃক্ত কোনো ইস্যু না পেয়ে দিনে দিনে নি’ষ্ক্রিয় দলে পরিণত হচ্ছে বিএনপি। দলের অভ্যন্তরীণ কর্মসূচি (সভা-সমাবেশ) হলেও কার্যকর কোনো কিছুই হচ্ছে না। বরং সেসব কর্মসূচিতে খোশগল্প ও সেলফি তোলায় ব্যস্ত থাকেন নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, সরকারের নির্বাহী আদেশে দ্বিতীয়বারের মতো সাজা স্থগিত হয়েছে দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। এ মুক্তির পেছনে বিএনপি কিংবা তারেক রহমান কোনো ভূমিকা রাখেননি। খালেদা জিয়ার ভাইয়ের পরিবার ভূমিকা রেখেছে।
মাঠের রাজনীতিতে বিএনপি সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ দলে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, দলটির রাজনৈতিক ভঙ্গুরতা এমন পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে, দলীয় কর্মসূচি বলতে কিছুই অবশিষ্ট নেই। মাঝেমধ্যে ‘লোক দেখানো’ রাজনৈতিক কর্মসূচি আহ্বান করা হয়, সেসব সভা-সমাবেশে নেতাকর্মীরা এসে ব্যস্ত হয়ে পড়েন খোশগল্প আর সেলফি তোলায়। বাকি যারা আসেন না, তারা নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে সময় পার করেন।
এদিকে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ায় দলের সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন খালেদা জিয়া। এই সুযোগে নিজের আলাদা সাম্রাজ্য গড়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও খালেদার জ্যেষ্ঠপুত্র লন্ডনে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান। তিনি টাকার বিনিময়ে অযোগ্য ও হাইব্রিডদের পদ-কমিটি ও মনোনয়ন দিয়েছেন। ফলে দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতারা তারেকের ওপর বিরক্ত হয়ে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছেন। কেউবা পদত্যাগ করে রাজনীতি থেকেই সরে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য বলেন, দলের অভ্যন্তরে কী হচ্ছে, তা কেবল আমরাই জানি। তারেক রহমানের দাপটে সবাই বিরক্ত। কিন্তু পদ-পদবি হারানোর ভয়ে তার বিরু’দ্ধে মুখ খোলা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, জনগণের মন থেকে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলের অস্তিত্বই মুছে গেছে। আর কেন মুছবে না, তাদের অতীত অপকর্ম ছিল জ’ঘন্য। দুর্নীতি, সন্ত্রা’স-জ’ঙ্গিবাদ, এতিমের টাকা লোপাট, মানুষ পোড়ানো, কী করেনি বিএনপি? এজন্য বিগত দিনে অনুষ্ঠিত সবগুলো নির্বাচনে ব্যালট-ইভিএমের মাধ্যমে জনগণ বিএনপিকে উচিৎ জবাব দিয়েছে। নিউজব্যাংক।