বিশেষ প্রতিবেদন:
নোয়াখালী এখন আওয়ামী লীগের নতুন মাথাব্যথার নাম। কিছুতেই যেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। দলীয় বিরোধ, প্রকাশ্য কাঁদা ছোড়াছুড়ি, সারাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে অ’স্থির করে তুলেছে নোয়াখালী।
শুক্রবার নোয়াখালীর আওয়ামী লীগ নেতার এক বক্তব্যের পর, নতুন করে বিত’র্ক শুরু হয়েছে। নোয়াখালী আওয়ামী লীগের নেতা একরামুল করিম চৌধুরী বলেছেন- ‘নোয়াখালী আমি চালাই।’ তার এই বক্তব্যের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে, আওয়ামী লীগ সরকার কি তাহলে বিভিন্ন জেলা এমপিদের লীজ দিয়েছে? একটি জেলা চলে স্থানীয় সরকারের অধীনে। জেলায় জেলা প্রশাসক আছেন, এসপি আছেন, জেলা জজ আছেন। তাদের বাদ দিয়ে একজন এমপি কীভাবে জেলার চালক হন, সে প্রশ্ন উঠেছে।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে জেলায় জেলায় এমপি শাসন ছিলো। জেলার প্রশাসন ছিলো অ’সহায়। রাজশাহীর এমপি ব্যারিস্টার আমিনুল হকের কথায় থানা থেকে খু’নের আসামী ছেড়ে দেয়া হতো। চট্টগ্রামের এমপি রাজাকার সাকাচৌর নির্দেশে জেলা প্রশাসককে এক কাপড়ে বের করে দেয়া হতো।
একরামুল করিম চৌধুরীর এই মন্তব্যের পর আবার সেই দিন ফিরে এলো কি না প্রশ্ন উঠেছে। তিনি কীভাবে এই মন্তব্য করলেন? সে প্রশ্ন নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরও নানা কথাবার্তা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের রাজনীতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জেলা আওয়ামী লীগ সার্বিক রাজনীতির জন্য ক্ষ’তিকর হয়ে উঠেছিল। এক সময় ফেনীর জয়নাল হাজারী সারাদেশে আওয়ামী লীগের ইমেজ নষ্ট করেছিলেন। শামীম ওসমান আর সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরোধ কেবল নারায়ণগঞ্জেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, সারাদেশে এর প্রভাব পড়েছিল।
এখন আওয়ামী লীগের জন্য ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে নোয়াখালী। ওখানকার ঘটনা জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে, এটি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী এলাকা।
আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই মনে করেন, নোয়াখালীর বিরোধ আসলে কাদের মির্জা আর একরাম চৌধুরীর বিরোধ নয়। নোয়াখালীর বিরোধ আসলে ওবায়দুল কাদের এবং একরাম চৌধুরীর বিরোধ। আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির জেলায় যদি একরাম করিম চৌধুরীর শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ কোথায় থাকে? বাংলাইনসাইডার।
437