দুর্নীতিবাজ সাজাপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি যদি একটি দলের প্রধান হয়!

0

বিশেষ প্রতিবেদন:

২০০১ থেকে ২০০৬ সালের বিএনপি শাসনামলের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া থাকলেও কার্যত তারেক রহমানই চালাত বাংলাদেশ। উক্ত সময়ে বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিজেও হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে যান। তবে অপরাধ করলে সাজা পেতে হয়। তারেক রহমানকেও সাজা দেয় আদালত।

১০ ট্রাক অ’স্ত্রের চালান ও ঘুষ নেয়া, ২১ আগস্টে হ’ত্যাযজ্ঞ চালানোসহ বেশ কয়েকটি মামলায় যাবজ্জী’বনসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি লন্ডনে ফেরারি জীবনযাপন করছেন। আর সেখান থেকে বসেই বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ নেতৃত্বে বিএনপি গভীর খাদে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

তারা বলেন, দেশের মানুষ বিএনপির অতীত কর্মকাণ্ডের কারণে দলটির ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। একের পর এক অপকর্মে লিপ্ত হওয়ায় দেশের মানুষ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর অ’সন্তুষ্ট।

তারা মনে করেন, রাজনৈতিক দলের জন্য নেতা ও নেতৃত্ব সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দুর্নীতি আর নেতৃত্বের ভুল সিদ্ধান্ত ও কর্মকাণ্ডে দল কীভাবে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ বিএনপি। তাই চারদিকে কথা উঠেছে, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বিএনপির জন্য এখন বোঝা।

২০০১-২০০৬ মেয়াদে তারেক রহমানের হাওয়া ভবন বিএনপির জন্য ভ’য়ংকর অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আর ২০১৫ সালে লাগাতার ৯২ দিন অবরোধের নামে জামায়াত-বিএনপির ক্যাডার বাহিনীর জ্বালাও-পোড়াও কর্মকাণ্ড, গর্ভবতী নারীসহ প্রায় ২ শতাধিক নিরীহ মানুষকে হ’ত্যা এবং আরো কয়েকশ’ মানুষ আগুনে পুড়িয়ে হ’ত্যা বিএনপির ইতিহাসের কালিমাময় অধ্যায়। যা মানুষ এখনো ভুলতে পারেনি, যা ক্রমাগতভাবে বিএনপিকে নিঃশেষ করে দিয়েছে।

হাওয়া ভবন কতখানি ক্ষ’তি করেছে দেশের, সব মহলই তা জানে। তার একটি বড় প্রমাণ পাওয়া যায় ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস মরিয়ার্টির ওয়াশিংটনে পাঠানো একটি বার্তায়। পরবর্তীতে উইকিলিকসের মাধ্যমে বার্তাটি ফাঁ’স হয়, যার বিবরণ ২০১৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়।

ওই বার্তায় তারেক রহমানের বিরু’দ্ধে লাগামহীন ঘুষ, দুর্নীতি, সন্ত্রা’স ও ক্ষমতার যথেচ্ছা ব্যবহারের কথা উল্লেখ ছিল, যা উইকিলিকস সূত্রে পত্রিকায় ছাপা হয়।

২০০১-২০০৬ মেয়াদে অলিখিতভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তারেক রহমান। কিন্তু দেশে নিজের এবং বিদেশে দেশের সামান্যতম ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে পারেননি। বরং দেশের সুনাম ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন তিনি।

যু’দ্ধাপরাধী দল, একাত্তরের ঘা’তক জামায়াতের সঙ্গে জোট বেঁধে তিনি গ্রেনেড হাম’লা চালিয়ে আওয়ামী লীগকে একেবারে নি’শ্চিহ্ন করার পথ বেছে নিয়েছিলেন। অবাক হয়ে সেদিন সারাবিশ্ব দেখেছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের সেই ব’র্বরতা।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিলে সংঘটিত ১০ ট্রাক অ’স্ত্র চোরা কারবার মামলা, জার্মানির সিমেন্স কোম্পানি থেকে ঘুষ নেয়ার মামলায় এরইমধ্যে যাবজ্জী’বনসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তারেক রহমান এখন লন্ডনে পলাতক রয়েছেন।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!