ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, অর্থ যোগাড়ের নতুন প্ল্যান তারেকের

0

বিশেষ প্রতিবেদন:

বিগত ১৪ বছরের সব গ্লানি মুছে শক্ত হাতে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি। সেই পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে সারাদেশের উপজেলা, ইউনিয়ন, থানা ও ওয়ার্ডগুলোর মেয়াদ শেষ হওয়া কমিটি বিলু’প্ত করে নতুন কমিটি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত পলাতক চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

জানা গেছে, এরইমধ্যে সে নির্দেশ জেলা পর্যায়ের নেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।

তারেক ও তার স্ত্রী জোবায়দার নামে ইংল্যান্ডে ৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশ দিয়েছে ব্রিটিশ আদালত, গত সপ্তাহে। মূলত বিভিন্ন দেশ থেকে এসব একাউন্টে কোটি কোটি ডলার লেনদেন হওয়ায় একাউন্ট ফ্রিজের নির্দেশ দেয়া হয়। তাই পদ না পাওয়া এবং দলত্যাগী একাধিক নেতা মনে করছেন, চাপে পড়ে যাওয়া তারেক রহমান বিভিন্ন কমিটি গঠনের নামে পরবর্তী ৫ বছর বিদেশে আরাম-আয়েশে থাকার খরচ তুলে নিতে নতুন কৌশল নিয়েছেন।

দলকে গোছানোর নামে দলীয় নেতাদের পকেট কাটার জন্য লন্ডনে বসে একের পর প্ল্যান করেন তারেক রহমান। তাই আগামীতে কমিটির নামে মনোনয়ন বাণিজ্য থেকে সাবধান হতে সাধারণ নেতা-কর্মীদের আহ্বান করেছেন তারা।

ঢাকার বাইরের কয়েকটি জেলার নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বছর বছর দল গোছানোর নামে এসব কাহিনী চলছে। কিন্তু দল গোছানো আর হয় না। টাকার বিনিময়ে কমিটিতে জায়গা পান অযোগ্য, স্বল্প শিক্ষিত, মা’দকা’সক্ত, বিভিন্ন মামলার আসামী, ব্যবসায়ীসহ নানান ধরণের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাহীন লোকজনের। এদের নিয়ে হয় না কোনো আন্দোলন, দলের কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে।

এদিকে সারা দেশে কমিটি দেয়ার নামে নতুন চাঁদাবাজির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপি ছেড়ে বিকল্পধারায় যোগ দেয়া সিনিয়র নেতা শমসের মুবিন চৌধুরী বলেন, বিএনপি নিঃসন্দেহে চাঁদাবাজদের দল। যে দল বিগত ১৪ বছরে কোন রকম সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি, সে দল আগামীতেও রাজনীতিতে কোন রকম চমক দেখাতে পারবে না। বিএনপির ভবিষ্যৎ অন্ধকার, তা বুঝতে পেরে হাজার হাজার কর্মী দলত্যাগ করছেন।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির নেতৃত্ব দেন একজন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ এবং সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। বিদেশে বসে যখনই অর্থের অভাব দেখা দেয় তখনই কমিটি দেয়া, জনপ্রিয়তা না থাকলেও নির্বাচনে মনোনয়ন বিক্রি, আন্দোলনের ব্যবস্থা করার নামে হুংকার দিয়ে বিশাল অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন তারেক।

বিএনপি নেতারাও না বুঝে লন্ডনে অর্থলগ্নি করে প্রতিবারই ধোঁকা খান। এই যে কমিটির কথা বলা হচ্ছে, এগুলো নেতা-কর্মীদের সঙ্গে রাজনৈতিক জালিয়াতির অংশ মাত্র। কারণ দলটির নেতৃত্বের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমার চেয়ে ভালো কেউ জানে না।

বিএনপি প্রতিষ্ঠাতার সাথে রণাঙ্গনে থাকা এবং একইসাথে রাজনীতিতে অংশ নেয়া এই নেতা বলেন, বিএনপি করতে গিয়ে অনেক নেতা-কর্মী এখন সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। চাঁদাবাজির রাজনীতি থেকে বাঁচতে শোকরানার মতো অনেক ক্ষমতাধর নেতারা বিদেশে পালাচ্ছেন। এগুলো বিএনপির রাজনৈতিক অধঃপতনের সাক্ষী।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!