বিশেষ প্রতিবেদন:
বিগত ১৪ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি নির্বাচনে বড় ধরণের পরাজয়ের পর নিজের অবস্থান বুঝতে পেরেছে বিএনপি। যার কারণে বর্তমান বিএনপি চাচ্ছে সরকারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে।
এর প্রমাণ স্বরূপ দেখা যাচ্ছে, বিএনপি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান পালন করছে, সঙ্গে উক্ত অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানালেও, আমন্ত্রণ জানানো হয়নি জামায়াতে ইসলামকে। সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক দিবসটিও তারা পালন করছে।
অনেকে ধারণা করছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিশে যেতে চাইছে বিএনপি। আবার কেউ কেউ বলছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির ইস্যুতে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতেই এসব নাটক করছে বিএনপি।
সূত্রের বরাতে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার কথা বললেও বর্তমানে তারা সরকারের সঙ্গে বসে বিষয়টির সুরাহা করতে চায়। বোঝাই যাচ্ছে সহিং’সতার রাজনীতি থেকে সরে এখন সরকারের আনুকূল্য পেতে নরম হয়েছে বিএনপি। ভুলের রাজনীতি থেকে বের হয়ে শুদ্ধ রাজনীতির পথে হাঁটছে তারা।
নির্বাচন শেষ হবার পরপর বিএনপি চেয়েছিল আন্তর্জাতিক মহলের কাছে গিয়ে এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহল এসব অভিযোগ অনুযোগের ব্যাপারে তেমন মনোযোগী নয়। দেখা যায়, সরকারের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারেই তারা আগ্রহী।
বিদেশি দূতাবাসগুলো বিএনপিকে স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয় তারা পর্যবেক্ষণ করছে। যেহেতু নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূর্ণ করেছে তাই বিএনপির উচিৎ গণতন্ত্রের স্বার্থে সেটিকে মেনে নেয়া এবং ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা কিংবা সরকারের সিদ্ধান্তকে সম্মান করা।
এই অবস্থায় অস্তিত্ব সংকটে থাকা এবং গ্রুপিংয়ের কারণে বিভক্ত বিএনপি শেষ চেষ্টা হিসেবে সরকারের সঙ্গে আপোস ফর্মুলায় যেতে চাচ্ছে, যেখানে সরকার তাদের দলীয় প্রধান খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়। পাশাপাশি তারা সীমিত আকারে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়।
কিন্তু সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, তাদের সঙ্গে সরকারের আপোস বা সমঝোতার কোন প্রশ্নই আসে না। বরং বিএনপির যে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি করার অধিকার আছে রাজনৈতিক দল হিসেবে। এটার জন্য সরকারের কোনো দয়া বা অনুকম্পার দরকার নেই। বিএনপি নিজ দোষেই দয়াপ্রার্থী হয়েছে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাইনসাইডার।