বিশেষ প্রতিবেদন:
নোয়াখালী নিয়ে আওয়ামী লীগ বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। নোয়াখালীর গত ৩ মাসের ঘটনাপ্রবাহ, চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এ সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার জন্য কারা দায়ী, কারা উ’স্কানি দিয়েছে এবং আওয়ামী লীগের কারা কোন পক্ষে কাজ করেছেন ইত্যাদি সব আদ্যোপান্ত বিবরণ প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া হয়েছে।
সভাপতি ঘটনাপ্রবাহ চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন, একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত দিয়েছে। তার ভিত্তিতে নোয়াখালীর ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যেতে পারে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
নোয়াখালীর পোস্টমর্টেম রিপোর্টে দুই পক্ষেরই উ’স্কানি এবং দায়িত্বহীনতার কথা বলা হয়েছে, দুই পক্ষেরই চেইন অফ কমান্ড নষ্টের কথা বলা হয়েছে। এই ঘটনার পেছনে ৩য় পক্ষের হস্তক্ষেপ আছে কি না সেটিও বিচার বিশ্লেষণ করে দেখা হয়েছে। তবে ৩য় পক্ষের হস্তক্ষেপের চেয়েও নোয়াখালীর রাজনীতিতে কর্তৃত্ব বিস্তারের যে প্রয়াস, সেই কারণেই এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর মতে, এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে দুটি বিকল্প নিয়ে আওয়ামী লীগ কাজ করছে। প্রথম বিকল্প, এদের বিরু’দ্ধে সাজার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা এবং নোয়াখালীর বর্তমান বাতিল করে দেওয়া। দ্বিতীয় বিকল্প, যেহেতু দুই পক্ষেরই শীর্ষ নেতারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাই এখানে কোনো কঠোর ব্যবস্থা নিলে সাংগঠনিক সমস্যা তৈরি হবে, যা নোয়াখালী আওয়ামী লীগের জন্য মঙ্গলজনক নয়।
সেজন্য উভয়পক্ষকে শেষবারের মত সতর্ক করে দেওয়া হতে পারে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত হলে তাদের বিরু’দ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে মর্মে সাবধান করে দেওয়া। পাশাপাশি পরবর্তী নির্বাচন এবং অন্যান্য কার্যক্রমে যারা আওয়ামী লীগে বিভেদ সৃষ্টির জন্য জড়িত ছিল, তাদের বিরু’দ্ধে নীরবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। অর্থাৎ তাদেরকে ভবিষ্যতে মনোনয়ন না দেওয়া এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে না রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
তবে আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, আইন নিজস্ব গতিতে চলবে। এখানে যে দুটি হ’ত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে যারাই জড়িত, তাদের বিরু’দ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরাসরি জড়িতদের কেউ যদি আওয়ামী লীগের কোন ক্ষমতাধর ব্যক্তিও হন, তিনিও ছাড় পাবেন না।
গতকাল ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, নোয়াখালীর ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই বক্তব্য রেখেছেন সাধারণ সম্পাদক। তবে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাই প্রথম দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বাংলাইনসাইডার।
270