বিশেষ প্রতিবেদন:
যতই দিন গড়াচ্ছে, ততই যেন প্রকাশ্য হচ্ছে বিএনপির গ্রুপিং এবং অনৈক্য। তারই ধারাবাহিকতায় এবার রাজধানীতে বিএনপির একটি সমাবেশে যায়নি ছাত্রদল নেতারা। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, তাহলে কি স্বার্থের প্রশ্নে দূরে চলে গেছে ছাত্রদল? আর সে কারণেই কি এই পরিস্থিতির সৃষ্টি?
গত বুধবার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের সামনে বিএনপির একটি সমাবেশ ছিল। কিন্তু সেখানে যাননি কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতারা। ঠিক কী কারণে বিএনপির ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সমাবেশে যাননি, পরিস্কারভাবে কেউই তার ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
এমনকি সংগঠনের একাধিক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সমাবেশে না যাওয়ার দায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ওপর চাপিয়ে বলছেন, সমাবেশে যাওয়ার জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে একাধিকবার ফোনে জানানো হলেও অজানা কারণে সেখানে যাননি তারা। এ থেকে বোঝা যায়, বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত।
বিষয়টি অ’স্বীকার করে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, ইচ্ছা করে এমনটি করিনি। কারণ ওইদিন গুলশান কার্যালয়ে আরেকটি প্রোগ্রাম ছিলো। সে কারণে সমাবেশে উপস্থিত থাকতে পারিনি। এর ভিন্ন অর্থ বের করার মানে হয় না। যারা এটি করছেন, তারা কেউই বিএনপির ভালো চান না।
এ কারণে গুজব ছড়িয়ে, মিথ্যাচার করে অভ্যন্তরীণ কোন্দল সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। যাতে আমাদের মধ্যকার সুসম্পর্কটা নষ্ট হয়ে যায়, দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহানগর বিএনপির এক নেতা এই প্রতিবদেককে জানান, তালতলা মার্কেটের সামনের বিএনপির সমাবেশ ছিল পূর্বনির্ধারিত। আর এটা ছাত্রদল নেতারা জানতেন। তারা পরিকল্পিতভাবেই সেখানে যাননি। এমনটি করা ঠিক হয়নি তাদের। এর হিসাব তাদের পরবর্তীতে চুকাতে হবে, এটাই সত্যি।
মহানগর বিএনপির নেতার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ছাত্রদলের এমন বেয়াদবি অ’মার্জনীয়। না যেতে পারলে আগে থেকেই বলে দিতো। কিন্তু অনুষ্ঠানসূচি ও স্থলের কথা জেনেও না যাওয়াটা ঔ’দ্ধত্য প্রকাশ। এর নেপথ্যে কে কলকাঠি নাড়ছে, তা এখনই দেখার বিষয়।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ছাত্রদলকে দায়ী করে কী লাভ? তারা তো তাদের অগ্রজদের দেখানো পথেই হাঁটছে। এখানে তাদের অপরাধ নেই। যেভাবে তাদের মধ্যে ‘কাউকে না মানার’ সংস্কৃতি চর্চা চলমান, তার পথ ধরেই ছাত্রদল বিএনপির সমাবেশে যায়নি। আর এটাই ধ্রুব সত্য। নিউজব্যাংক।