সময় এখন ডেস্ক:
এবার ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিলের নামে জালিয়াতি। কখনও বক্তা যোগাড় করে দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে, কখনও আবার টাকা নিয়ে উধাও কিন্তু অনুষ্ঠানস্থলে নেই বক্তা। মাওলানা শরিফুল ইসলাম নামে এরকমই এক ওয়াজের দালাল হুজুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মাওলানা শরিফুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার বায়তুল মামুর জামে মসজিদের খতিব। নিজেকে তিনি পরিচয় দেন জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মীর হাবিবুর রহমান যুক্তিবাদীর পিএস হিসেবে।
অভিযোগ, হাবিবুর রহমান যুক্তিবাদীকে বক্তা হিসেবে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।
এমনই এক অভিযোগে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দায়ের করা মামলায় নারায়নগঞ্জের বন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। টাকা সংগ্রহ করা হতো মসজিদের মুয়াজ্জিন এনামুলের বিকাশ নম্বরে।
অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি হুজুরকে না বলে এই তারিখটা দিয়েছিলাম। আমার ভুল হয়ে গেছে, আমি হুজুরের সাথে পরামর্শ না করে এই কাজ করেছিলাম।
নারায়ণগঞ্জ বায়তুল মামুর জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন এনামুল হক বলেন, শরিফুল ইসলাম আমার বিকাশ নাম্বারে টাকা আনছে। প্রথমে ৯ হাজার টাকা আনছে, পরে ২০ হাজার টাকা আনছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, শরিফুল ইসলাম হাবিবুর রহমান যুক্তিবাদীর সাবেক ছাত্র। তার বিকাশ একাউন্টে শতাধিক লেনদেনের হিসাব পাওয়া গেছে।
ডিএমপির তেজাগাঁও জোনের ডিসি হারুন অর রশিদ বলেন, মানুষ শরিফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে মীর হাবিবুর রহমান যুক্তিবাদীকে মাহফিলের দাওয়াত দেয়ার জন্য। তখন শরিফুল বলে, আমার বিকাশে ৫০ হাজার টাকা পাঠান, আমি কন্টাক্ট করাই দিচ্ছি। এই বিকাশ নাম্বারে কয়েকশ মানুষের বিকাশ থেকে টাকা আসছে।
সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে এ ধরনের অপরাধ বাড়ছে বলে জানায় পুলিশ। ওয়াজ মাহফিলে বক্তা নির্বাচন ও বক্তার সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। সেই সাথে এমন আরও ওয়াজ ব্যবসায়ীর সন্ধান পেলে পুলিশকে জানানোর জন্য পরামর্শ দেন তিনি।