বিশেষ প্রতিবেদন:
সামনে সরকারের প্রশাসনে, মন্ত্রীসভায় এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। অনলাইন গণমাধ্যম বাংলাইনসাইডার এর খবর।
আগামী ১৭ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত সরকারের প্রায় সব মহল ব্যস্ত থাকবে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান নিয়ে। এরপর ধাপে ধাপে আগামী জুলাই পর্যন্ত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে বড় পরিবর্তন হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এই সব পরিবর্তনের প্রস্তুতিও চলছে সরকারের নীতি নির্ধারক মহলে। যে সব ক্ষেত্রে পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে-
প্রশাসনে পরিবর্তন: আগামী মাস থেকে প্রশাসনে ধাপে ধাপে বেশ কিছু পরিবর্তন আসছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ে বড় ধরনের রদবদলের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। অনেক সচিব আগামী মে-জুনে অবসরে যাবেন। অবসর ছাড়াও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে সচিব পর্যায়ে রদবদল হতে পারে।
মন্ত্রীসভায় রদবদল: মন্ত্রীসভার রদবদল নিয়ে বহুদিন কথা হচ্ছে। কিন্তু হৈচৈ করেও শেষ পর্যন্ত রদবদল হয় না মন্ত্রীসভার। তবে এবার নতুন করে মন্ত্রীসভার রদবদলের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। রোজার আগেই মন্ত্রীসভার বড় ধরনের রদবদল হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
উপদেষ্টামন্ডলীতে পরিবর্তন: ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব এবং একান্ত সচিব-২ কে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনে বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে। এই ধারায় সামনে আরো পরিবর্তন হবে বল জানা গেছে।
গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবর্তন: আগামী জুনে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি পদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। ঐ পদে কাকে দেয়া হবে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলাপ আলোচনা চলছে। এই পদে নতুন কে আসেন, তা নিয়ে সকলের আগ্রহ রয়েছে।
সারা দুনিয়ার রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের ঠিকা নেইনি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সারা দুনিয়ায় সমস্যায় পড়া রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে কন্ট্রাক্ট নেইনি। আন্দামান সাগরে ভাসা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জলসীমা থেকে অনেক দূরে ছিল। তাদের নৌকা মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত থেকে অনেক কাছে। তাহলে এই দায় আমরা কেন নেবো?
শনিবার (১৩ মার্চ) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যখনই সাগরে ভাসা রোহিঙ্গাদের পাওয়া যায়, তখনই তাদের কাছে ইউএনএইচসিআর-এর কার্ড পাওয়া যায়। তাদের কার্ড নিয়ে কেন রোহিঙ্গারা চলে যায়, সেট আপনারা ইউএনএইচসিরআরকে জিজ্ঞাসা করেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান আসবেন। অনেক চুক্তি সই হবে। ভারতের সঙ্গেও আমাদের অনেক চুক্তি সই হবে।
তিনি আরো বলেন, করোনা বেড়ে যাওয়ায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠান আমরা সতকর্তার সঙ্গে করতে চাই। সে কারণেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওড়াকান্দিতে বড় ধরনের সমাবেশের কথা থাকলেও সেখানে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।