বিশেষ প্রতিবেদন:
বাইরে বিএনপি সরকারের বিরু’দ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার হুম’কি দিচ্ছে। সরকারের পদত্যাগের দাবী জানাচ্ছে। বিএনপি নেতারা জ্বালাময়ী ভাষায় সরকারের কঠোর সমালোচনা করছে। অন্যদিকে বিএনপির অন্তত ৩ জন নেতা এবং খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা তাকে দেশের বাইরে পাঠানোর জন্য সরকারের সাথে নানা রকম দেন দরবার করছে।
গত একমাস ধরেই নেতাকর্মীদেরকে আন্দোলনমূখী করার চেষ্টা চলছে নানান কর্মসূচিতে ব্যস্ত অস্তিত্বের সংকটে থাকা বিএনপি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে বিএনপি বেশ কয়েকটি সমাবেশ করেছে ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে।
বিএনপির নেতারা মনে করছেন, ধাপে ধাপে আন্দোলন করে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ একটি চূড়ান্ত আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব। বিএনপির এই আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য কি সরকারের পতন, নাকি ঘর গোছানো- এ নিয়ে বিএনপির মধ্যেই ভিন্নমত পাওয়া যায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, কর্মসূচি থাকলেই কর্মীরা চাঙ্গা থাকে, সংগঠন গোছানো যায়, এজন্য আমরা বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দলকে রাখার চেষ্টা করছি। কর্মসূচিহীন সংগঠন টিকে থাকতে পারে না।
এজন্যই বিএনপি কর্মসূচির মধ্যে থাকার চেষ্টা করছে। আবার বিএনপির মধ্যেই এ নিয়ে ভিন্নমত আছে। কোনো কোনো নেতা মনে করেন, সরকার একা হয়ে গেছে। সরকারের বিরু’দ্ধে মানুষের ক্ষোভ অ’সন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। তাই আন্দোলন গড়ে তোলার এখনই সময়।
যে কারণেই হোক না কেন, দীর্ঘদিন পর ছোট খাট কর্মসূচির মধ্যে আছে বিএনপি। কিন্তু এই কর্মসূচি যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জেলমুক্তি এবং বিদেশ যাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারবে না, এটা বিএনপির নেতারা ভালোই বোঝেন।
আর এজন্য প্রেসক্লাবের সামনে উত্তাপ ছড়ালেও বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং নজরুল ইসলাম খান খালেদা জিয়ার ‘উন্নত চিকিৎসা’র জন্য সরকারের সাথে দেনদরবার করছেন।
এই তিন নেতা সরকারের ক্ষমতাধর বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন। বৈঠকের প্রধান লক্ষ্য ছিলো খালেদা জিয়াকে যেন বিদেশে যাবার অনুমতি দেয়া হয়।
তবে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত দিতে পারেন কেবল প্রধানমন্ত্রী। খালেদা জিয়ার পরিবার এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করছেন। তারা এখনও আশাবাদী। তারা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারলেই বিদেশ যাত্রার অনুমতি পাবেন খালেদা। বাংলাইনসাইডার।