সময় এখন ডেস্ক:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে চতুর্থবারের মতো সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে নিজ কার্যালয়ে প্রথম অফিস করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১৩ জানুয়ারি) সকালে তিনি সেখানে গেলে সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে অভ্যর্থনা জানান। সেনানিবাসে পৌঁছেই প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের শ্রদ্ধা জানিয়ে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সকাল ১০টা ২০ মিনিটে শিখা অনির্বাণে পৌঁছালে সেখানে তাকে স্বাগত জানান তিন বাহিনীর প্রধান এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
পরে তিন বাহিনীর প্রধানরা এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সশস্ত্র বাহিনীর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ মাল্টিপারপাস হলে তার দফতরের কর্মকর্তা এবং অন্যান্য পদবির সদস্যের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর চা চক্রে মিলিত হন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২য় এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি ব্রিগেড হচ্ছে
সেনাবাহিনীর ২য় এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি (এডিএ) ব্রিগেড গঠন করা হচ্ছে। বিদ্যমান এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারির বিভিন্ন ইউনিট পরিচালনায় প্রস্তাবিত এই ব্রিগেডে ১০৯ জন জনবল ও ১০টি যানবাহন যুক্ত হচ্ছে শীঘ্রই।
সম্প্রতি সরকারের প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় এই প্রস্তাবের পক্ষে সুপারিশ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার বিষয়ক সচিব এন এম জিয়াউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে বর্তমানে এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি ইউনিটের সংখ্যা ১১টি এবং এসব ইউনিট নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য মাত্র ১টি এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি ব্রিগেড রয়েছে। সামরিক সক্ষমতা অনুযায়ী, এ ধরনের একটি ব্রিগেড দিয়ে একই বড়জোর ৩/৪টি ইউনিটকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করা সম্ভব।