বিশেষ প্রতিবেদন:
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কঠোর অবস্থানে গেছে সরকার। বিভিন্ন মহল থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি করা হয়েছে। বাম ছাত্রসংগঠনসহ কয়েকটি সংগঠন এই আইনটি বাতিলের জন্য ২৬ মার্চ পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়েছে। বিএনপিও এখন এই আইন বাতিলের দাবি করছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক মোশতাকের মৃ’ত্যুর পর বিভিন্ন মহল থেকে এই আইন বাতিলের দাবি তোলা হয়। সে সময় আইনমন্ত্রীর অ্যাডভোকেট আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, আইনটি পর্যালোচনা করা হবে।
তিনি এই আইনের যেন অপ-প্রয়োগ না হয় তা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এই আইনের কয়েকটি ধারা ‘পুনর্বিন্যাস’ করা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছিলেন। এ নিয়ে তিনি আইনমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন।
গণমাধ্যম কর্মীদের পক্ষ থেকে সম্পাদক পরিষদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধের দাবি জানান। সংগঠনটি এর সুনির্দিষ্ট কয়েকটি ধারা বাতিলের দাবি করে আসছে।
মোশতাকের মৃ’ত্যুর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা এই আইনের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
কিন্তু এসব চাপের ফলে সরকার নতি স্বীকার করবে না বলেই মনে হচ্ছে। বরং এই চাপ সরকারকে আরো কঠোর অবস্থানে নিয়ে গেছে। আইনটির কিছু কিছু ধারা সংশোধনের ব্যাপারে যে ইতিবাচক আগ্রহ তৈরি হয়েছিল, এখন সরকার সেখান থেকেও সরে এসেছে।
দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, সরকার এখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কোন পরিবর্তন আনবে না।
শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্যান্য নানা বিষয়ের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়েও আলোচনা হয়। সেখানে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাই এখন এই পরিস্থিতিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল বা পরিবর্তনের বিপক্ষে মত দেন।
জানা গেছে, বৈঠকে সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন বিষয়ে যেভাবে অ-শোভন ভাষায় কথা বার্তা বলা হচ্ছে, তা নিয়ে কয়েকজন কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও কথা বলেন। এই বৈঠকের পর ধারণা করা হচ্ছে; আপাতত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। বাংলাইনসাইডার।