বিশেষ প্রতিবেদন:
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনী এবং তারেক জিয়ার কন্যা জাইমা রহমান ব্রিটিশ পাসপোর্ট নিয়ে ঢাকায় আসছেন।
আগামী মাসের শুরুতে তিনি ঢাকায় আসতে পারেন বলে খালেদা জিয়ার পরিবারের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ এ তারেক রহমান সপরিবারে লন্ডনে চলে যান এবং যাওয়ার আগে তিনি রাজনীতি করবেন না মর্মে মুচলেকা দেন। জাইমা সেখানে গিয়ে লেখাপড়া করেন এবং তিনি সেখানে বার এট-ল সম্পন্ন করেছেন বলে জানা যায়। ২০২০ সালে জাইমা ব্রিটিশ পাসপোর্ট গ্রহণ করেন।
এখন যেহেতু তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরু’দ্ধেও দুর্নীতিসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে; সেই সাথে তারেক দুটি মামলায় সাজাও পেয়েছেন, সেই প্রেক্ষিতে তারা কেউই দেশে আসবেন না। এখন খালেদা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও অন্য বিষয় দেখভাল করার জন্য জাইমা দেশে আসছেন বলে জানা গেছে।
জাইমার সঙ্গে প্রয়াত কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথিও বাংলাদেশে আসবেন বলে জানা গেছে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি দেখভাল করেন তারেকের স্ত্রী জোবায়দা রহমান। তিনি যেহেতু এখন আসতে পাড়ছেন না, তাই খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার লবিং এবং সরকারের সাথে আলাপ করতেই হয়তো জাইমা আসছেন।
অন্য একটি সূত্র বলছে, বিভিন্ন ইস্যুতে গ্রুপিং এবং নেতৃত্বহীনতা বিএনপিকে দুর্বল করে দিয়েছে। বিশেষত, জিয়া পরিবারের কেউ নেতৃত্বে না থাকায় নেতাকর্মীরাও হতাশ। তাই জাইমাকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হচ্ছে। ২০১৮ এর নির্বাচনের পর থেকে তারেকবিরোধী একটি গ্রুপ সক্রিয় হয়েছে। মনোনয়ন বাণিজ্য এবং কমিটি বাণিজ্যের কারণে তারেকের নেতৃত্ব মানতে চান না অনেক সিনিয়র নেতাই। অনেকেই দলও ছেড়েছেন গত দুই বছরে।
এ কারণেই বিএনপিতে তারেকের বিকল্প এবং শিক্ষিত তরুণ নেতৃত্ব হিসেবে জাইমাকে ভাবছেন অনেকেই। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ বিএনপির অনেক বুদ্ধিজীবীও জাইমার ব্যাপারে পজেটিভ মনোভাব দেখিয়েছেন ইতিপূর্বে।
তাছাড়াও খালেদা জিয়া এখন আর রাজনীতি সক্রিয় হওয়ার পরিস্থিতিতে নেই। সাজা স্থগিতের পর থেকে তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে অবস্থান নিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সামনের দিনগুলোতে বিএনপি কীভাবে এগুবে সেই ভাবনা তো আছেই।
তবে বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন, জাইমা আসলে আসছেন তারেকের প্রতিনিধি হিসেবে এবং তার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করাই জাইমার বাংলাদেশ মিশনের লক্ষ্য।
বাংলাদেশে তাকে আসতে দেয়া হবে কি হবে না সে বিষয়ে বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, জাইমা ব্রিটিশ পাসপোর্ট নিয়ে আসবেন, কাজেই তাকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না দেয়ার কোনো কারণ নেই। বাংলাইনসাইডার।