সময় এখন ডেস্ক:
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, যাকে কিছুদিন আগেও কেউ চিনতো না, এমনকি তিনি যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার আগ পর্যন্ত অনেকেই জানতেন না।
হঠাৎ করেই বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচনের আগে নানা রকম বিত’র্কিত কর্মকান্ড এবং কথার ফুলঝুরিতে তিনি গণমাধ্যমের প্রথম পাতায় উঠে আসেন। নোয়াখালীর আরেক এমপি একরামুল চৌধুরীর সাথে দ্বৈরথ এবং কাদা ছোড়াছুড়ি তাকে পরিচিতি এনে দেয় দ্রুত।
এবার তিনি বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এপিএস মহিতুলকে দিয়ে তার স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদের সব খাত থেকে চাঁদা সংগ্রহ করেন। এই চাঁদার টাকার একটি অংশ প্রশাসনের লোকজনের জন্য, একটি অংশ লন্ডনে তারেক জিয়ার জন্য পাঠান এবং অবশিষ্ট টাকা মন্ত্রীর স্ত্রী রেখে দেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবের স্ত্রী আজ নিজাম হাজারী, একরাম চৌধুরীর সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমাকে হ’ত্যার পরিকল্পনা করছেন। ঢাকা থেকে প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করছে জাহাঙ্গীর নামে এক ছেলে। সে মন্ত্রণালয়ের বিআরটিএ লু’টপাট করে খাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদা নিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। জাহাঙ্গীর এবং জুয়েল মন্ত্রীর স্ত্রীর নির্দেশে সব করছে। এদের সঙ্গে ঢাকার ব্যবসায়ী নাজমুল হক নাজিম, উপজেলা চেয়ারম্যার মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, এস্কান্দার মির্জা শামীমও রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত দেড় মাস ধরে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের বিরোধ চলছে।
এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে এক অ’স্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন সময়ে দুইপক্ষের দফায় দফায় সংঘ’র্ষ ঘটে। এতে ৯ মার্চ সিএনজিচালক ও শ্রমিক লীগ কর্মী আলাউদ্দিন এবং আরও কিছুদিন আগে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের প্রাণ যায়।