সময় এখন ডেস্ক:
বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
বুধবার বিকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদযান উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় এ প্রশংসা করেন চীনের প্রেসিডেন্ট।
শি জিনপিং বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দারুণ কিছু সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও উন্নয়নের দিকে মনোযোগী হয়েছে এবং দ্রুত বর্ধনশীল বিশ্বের কাতারে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে।
৬ শতাংশের অধিক জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) মাধ্যমে বাংলাদেশ তার দেশের মানুষের জীবনকে উন্নত করছে এবং বিশ্ব থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। চীন বাংলাদেশের এমন উন্নয়নে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে।
ভিডিও বার্তায় চীন ও বাংলাদেশের মধ্যেকার দীর্ঘদিনের সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে শি জিনপিং বলেন, চীন ও বাংলাদেশ সবসময়ই বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশি রাষ্ট্র। ঐতিহাসিক সিল্ক রোড দুই দেশের সেই সুসম্পর্কের সাক্ষী হয়ে আছে বছরের পর বছর ধরে।
শুভেচ্ছা বার্তায় চীনের প্রেসিডেন্ট ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি করোনার মধ্যে দুই দেশের মধ্যেকার সাহায্য সহযোগিতার বিষয়গুলো তুলে ধরেন। ভবিষ্যতেও দুই দেশের মধ্যে এমন আন্তরিক সম্পর্ক থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন চীনের প্রেসিডেন্ট।
বাংলাদেশ নিয়ে যা বললেন কৈশোরে ঢাকা সফরকারী জাস্টিন ট্রূডো
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রূডো বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় অ’ব্যাহতভাবে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়েছে তার দেশ। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন অগ্রগতিতে পাশেই ছিল কানাডা। আগামীতেও এই সহযোগিতা অ’ব্যাহত রাখা ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে কানাডা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়ালভাবে দেওয়া শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কাডানার পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
জাস্টিন ট্রূডো বলেন, করোনার কারণে ভার্চুয়ালভাবে বক্তব্য দিতে হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে আমি সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষকে ভালোবাসতেন। ১৯৮৩ সালে আমি আমার বাবার সঙ্গে বাংলাদেশ সফর করেছিলাম। আমার দেশের সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত শক্তিশালী সম্পর্ক ছিল।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় আমরা পূর্ণাঙ্গ সমর্থন দিয়েছিলাম। আমি যখন আমার বাবার সঙ্গে বাংলাদেশ সফর করেছিলাম সে সময়ের থেকে বাংলাদেশে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতে প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতি।
ট্রুডো বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, দারিদ্র্য কমেছে, শিক্ষার হার বেড়েছে এবং স্বাস্থ্য সেবার প্রসার ঘটেছে। এর ফলে দেশের জনগণের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে।
আজকে আমরা উৎসব করতে পারছি শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক একটি দেশ গড়ার ভিশনের কারণে। এটি সম্ভব হয়েছে এদেশের মানুষের প্রতি তার ভালোবাসার জন্য। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নতি বাংলাদেশের মানুষের জন্য বিশাল সুযোগ। বাংলাদেশের এসব উন্নয়ন সব সময় সহযোগী হিসেবে পাশে ছিল কানাডা, জানান ট্রুডো।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশুদের শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে কানাডা সহযোগিতা করেছে। আমরা এই সহযোগিতা অ’ব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামীতেও আমরা একসঙ্গে কাজ করব।
709