সময় এখন ডেস্ক:
‘বঙ্গবন্ধুর স্মরণশক্তি অত্যন্ত প্রখর ছিল। কাউকে একবার দেখলে তার নাম ধাম পরিচয় সবই মনে রাখতে পারতেন। অনেক বছর পর দেখা হলেও চিনতে পারতেন। তিনি একজন জাদুকরী নেতা ছিলেন। আর ছিলেন অনেক দয়ালু একজন মানুষ।
মানুষের অভাব অনটনে ছুটে গিয়ে পাশে দাঁড়াতেন। তাঁর মতো এমন সংগঠক আর কাউকে দেখিনি। আমি তাঁর অনেক স্নেহ ভালোবাসা পেয়েছি। তাঁর মতো পরম আন্তরিকতার লোকও আমি আমার সারাজীবনে আর দেখিনি।’
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে একান্ত আলাপচারিতায় কথাগুলো বলছিলেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার ঐতিহ্যবাহী শেখ পরিবারের সদস্য শেখ বোরহান উদ্দিন। খুব কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুকে দেখার সুযোগ হয়েছে তার।
বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পাওয়ার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে শেখ বোরহান উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু হৃদয় দিয়ে কৃষক শ্রমিক মজুরদের ভালোবাসতেন। অভাবী মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। তাদের দুঃখ কষ্ট দূর করার চেষ্টা করতেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই গরিবের অভাব দূর করার স্বপ্ন দেখতেন।
শেখ পরিবারের এই সদস্য বলেন, আমি শেখ কামাল ও শেখ জামালের (বঙ্গবন্ধুর দুই পুত্র) সঙ্গে টুঙ্গিপাড়ায় ও ধানমন্ডি ৩২-এ খেলাধুলা করেছি। উনি (বঙ্গবন্ধু) বেগম মুজিবকে বলতেন, তোমার ভাই এসেছে। ভালো ভালো খেতে দাও।
আমি বঙ্গবন্ধুর দিকে চেয়ে চেয়ে দেখতাম। আহা, কী আকর্ষণ তাঁর মুখে। সবাই তাঁর জন্য দিওয়ানা ছিলেন। যে একবার বঙ্গবন্ধুর স্পর্শ পেয়েছে, সে কোনোদিনই তাঁকে ভুলতে পারবে না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘মুজিব ভাই’ আর তাঁর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবকে ‘রেনু বুজি’ বলে ডাকতেন শেখ বোরহান উদ্দিন।
তিনি বলেন, রেনু বুজির অনেক অবদান। বঙ্গবন্ধু জেলে থাকতেন রাজনীতির জন্য। এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়াতেন। রেনু বুজি সব নিজের কাঁধে তুলে নিতেন। তিনি মহিয়সী নারী। রেনু বুজি না থাকলে তিনি বঙ্গবন্ধু হতে পারতেন না। আমি বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয়া করি।